চাঁদের জমি ল্য়ান্ডার বিক্রম স্পর্শ করতেই সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ”আমার পরিবার, আমরা দেখলাম ইতিহাস তৈরি হতে। জীবন ধন্য হয়ে গেল। এমন ঐতিহাসিক ঘটনা গোটা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঘটনা নয়া ভারতের প্রমাণ, এই ঘটনা সমস্যার মহাসাগর পার করার মতো, এই মুহূর্ত ভারতের উদীয়মাণ ক্ষমতার প্রমাণ। আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে আমরা তা সফল করেছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: SSC-র মেধাতালিকা প্রকাশে বড় বদল, সকলেই জানবে সকলের রেজাল্ট! সন্ধ্যায় প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘টিম চন্দ্রযানকে, বিজ্ঞানীদের আমার শুভেচ্ছা। তাঁরা এই মুহূর্তটির জন্য বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম করেছেন। ১৪০ কোটি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। ভারতের উদয়মান ভাগ্যের আহ্বান এই মুহূর্তেৃ। অমৃতকালের আহ্বান। অন্তরীক্ষে নতুন ভারতের উদয়। আমি এখন দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আমার মনও এখানেই ছিল।’’
চাঁদে বিক্রম পা রাখার পর জাতীয় পতাকা নাড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। তার পর ভাষণ দিতে শুরু করেন। বুধের এই অভিযান সফল হলে, পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন (অধুনা রাশিয়া), আমেরিকা এবং চিনের পর ভারতই চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা পেল ইতিহাসে, যারা চাঁদের মাটি ছুঁতে সফল হয়েছে। একাধিক কারণে ভারতের জন্য় এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামনের বছর লোকসভা নির্বাচনও রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঙালি কি আর প্রাণভরে শুক্তো’ও খেতে পারবে না? পরিস্থিতি যা, আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশ
আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিতে মহাকাশ অভিযানের সাফল্যে বেসরকারি বিনিয়োগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে সফল ভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামানোয় আগামী দিনে ভারতের মহাকাশ অভিযানে বেসরকারি বিনিয়োগ পেতে আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে স্যাটেলাইট নির্ভর ব্যবসা এবং মহাকাশযান তৈরির সংস্থাগুলি আগামী দিনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।