ভারতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা তার নিজের বিশেষত্বে আর মৌলিকতা ভরপুর। তার মাহাত্ম্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অনেক।
আরও পড়ুন: অলৌকিক? ৪৮ ঘণ্টায় গঙ্গার জলস্তর বাড়ল দেড় ফুট! বেনারসের গরমে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য
ঝাড়খণ্ডে রয়েছে এমনই একটি পুকুর। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন সেই পুকুরে প্রাচীনকাল থেকে একটি বড় গোখরো সাপ বাস করে। লোকবিশ্বাস, তিনি সর্পদেবী। তাঁর কাছে যে কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করলে তা পূরণ হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই ভক্তের ইচ্ছাপূরণ! বজরঙ্গবলীর এই মূর্তির নেপথ্য কাহিনি শিহরণ জাগাবে
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির নামকোমে মারাশিলি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই পুকুর। পুকুরের পাশেই রয়েছে নাগদেবতার মন্দিরও। মন্দিরের পুরোহিত শম্ভু জানান, পুকুরটি প্রাচীনকাল থেকেই এখানে রয়েছে। কে কবে খনন করেছিলেন কেউ জানে না। কিন্তু কথিত আছে এক ইচ্ছা পূরণকারী সাপ সেই পুকুরে বাস করে।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, নাগদেবীর দেখা পেতে পারেন শুধুমাত্র বিশেষ ক্ষমতাধর কোনও ব্যক্তি। মনে করা হয় পুকুরটিতে একটি গোপন সুড়ঙ্গও রয়েছে, যা সরাসরি নাগ দেবতার মন্দিরে গিয়ে ওঠে।
পুকুরটি অনেকখানি গভীর। অদ্ভুত বিষয় হল এই পুকুরে পড়ে গেলেও কেউ ডুবে যান না। স্থানীয়দের দাবি, সাঁতার না জানা কোনও ব্যক্তি পুকুরে পড়ে গেলেও এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারেন।
একটি বিশেষ ইচ্ছাপূরণকারী সাপ দীর্ঘকাল ধরে এখানে বসবাস করে বলে মনে করা হলে, প্রকৃতপক্ষে এই পুকুরে বাস করে অনেক সাপ। তবু এই পুকুরে স্নান করেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই পুকুরে স্নান সেরে প্রার্থনা করতে যান। সাপেরা কাউকেই কিছু বলে না বলে স্থানীয়দের দাবি।
পুরোহিত শম্ভু বলেন, মন থেকে চাইলে এখানে এসে সব পাওয়া যায়। তিনি এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর গল্প শোনান, যিনি এই নাগ মন্দিরে প্রার্থনা করার সময়ই তাঁর স্বামী এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। পাশাপাশি সুনীতাদেবী নামে এক মহিলার কথাও জানান। ওই মহিলা তিন সন্তানের জন্ম দেন। তারা প্রত্যেকেই জন্মের চার মাসের মধ্যে মারা যায়। পরে সুনীতাদেবী নাগদেবতার পুজো করেন এবং ফের সন্তানধারণ করেন। সেই শিশুটি সুস্থ ভাবে বেঁচে রয়েছে ছ’বছর।
আশপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ এই পুকুরে ও সংলগ্ন নাগদেবতার মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।