কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে সময় চেয়েও পাচ্ছেন না তিনি। এ দিকে নানা মহলে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠেছে। কার অঙ্গুলি হেলনে চলছেন মুকুল রায ? দুই সহকার ভগীরথ মাহাতো এবং রাজু মণ্ডলদের চালনা করছেন কে? কে প্রতিনিয়ত টেলিফোনে রাজু ও ভগীরথদের নির্দেশিকা পাঠিয়ে চলেছেন ? এমন কি সাংবাদিকদের প্রশ্ন একটু এদিক ওদিক হলেই সাক্ষাৎকার বন্ধ করার নির্দেশিকা আসছে ফোনের ওপার থেকে। কে সেই তৃতীয় ব্যক্তি ?
advertisement
আরও পড়ুন: মুকুলে বিরক্ত মমতা, এক উত্তরেই দিয়ে দিলেন সব প্রশ্নের জবাব!
আর এই আবহেই আরও গুরুতর এক প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে প্রত্যেকের মনে। তাহল মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বারংবার দাবি করছেন, তাঁর অজান্তে তাঁর বাবাকে অপহরণ করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য ও মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তা প্রকট করেছেন তিনি। এমন কি, মুকুল রায়ের দিল্লি আসার পিছনে আর্থিক ষড়যন্ত্র এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ করতে পিছপা হননি শুভ্রাংশু।
কিন্তু নিউজ এইট্টিন বাংলার সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে অন্য তথ্য। মুকুল রায় একাধিকবার বলেছেন, শুভ্রাংশুর সঙ্গে তাঁর প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে সত্যি কথা বলছেন কে? মুকুল রায় নাকি শুভ্রাংশু ? এদিকে, মুকুল রায় দক্ষিণ দিল্লির নেহেরু প্লেসে যে হোটেলে রয়েছেন সেখানে দিল্লি পুলিশের এক নির্দেশিকা এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, মুকুল রায়কে যেন রাজ্য পুলিশ অথবা অন্য কেউ জোর করে নিয়ে যেতে না পারে। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাই মুকুল রায়ের সাক্ষা প্রার্থী সাংবাদিকদের সবার গতিবিধির উপরে বিশেষ নজর রাখছে।
তবে গত দু-তিনদিনে যে ছবি ধরা পড়ল তা হল, মুকুল রায় দিল্লি বিমানবন্দর নামার পর সোজা নেহেরু প্লেসের এই হোটেলে উঠেছেন। আজ দৃশ্যতই শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি। হাঁটাচলা করছেন অন্যের সাহায্য নিয়ে। কথা বলতে গিয়ে সেই হারিয়ে ফেলছেন। তা সত্ত্বেও তিনি বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলা হয়ে ওঠেনি। এ দিকে সময় দেননি অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং ভূপেন্দ্র যাদব।
স্বভাবতই মুকুলের দিল্লি যাত্রার পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ দিন মুকুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পুত্র শুভ্রাংশকে ইডি-সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচাতেই কি দিল্লিতে এসেছেন ? জবাবে তিনি বলেছেন এমন জল্পনা অর্থহীন। তিনি কাউকে বাঁচাতে বা কাউকে মারতে আসেননি। স্বেচ্ছায় কিছু কাজ নিয়ে দিল্লি এসেছেন।