তরমুজের জুস: আর্দ্র মরসুমে শরীরকে ডিহাইড্রেটেড রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো পানীয় হল তরমুজের জুস। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, বি১ এবং সি। এর সবকটাই শরীরকে বাড়তি সুবিধে দেয়। তরমুজে ৯০ শতাংশ জল রয়েছে। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এর জুড়ি নেই। তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইপোসিন রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Skin Care Tips: মুখ হবে চাঁদের মতো উজ্জ্বল, থাকবে না একটা দাগও!
ডাবের জল: গরম কাল হোক কিংবা বর্ষাকাল- ডাবের জলের কোনও বিকল্প নেই। এতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট কম। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। ফলে হাইড্রেশন পানীয় হিসেবে এটা চমৎকার কাজ করে। ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণকে ন্যূনতম রাখার সময় পানীয় শরীরকে হাইড্রেট করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা বদহজম থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। হজম হয় সবকিছু।
ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়: ইলেক্ট্রোলাইট হল খনিজ। এটা শরীরে জলের স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এগুলো রক্ত, টিস্যু ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। জল, ইলেক্ট্রোলাইটস (সাধারণত সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম) হল ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়ের প্রধান উপাদান। তবে বেশিটা থাকে জল। এই পানীয়ের প্রধান উদ্দেশ্যই হল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ইলেক্ট্রোলাইট এবং চিনির মাত্রা পরিবর্তিত হয়। যেমন ডায়ারিয়া বা অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার সময় একরকম আবার ব্যায়ামের পর এই পানীয় খেতে চাইলে তাতে ইলেক্ট্রোলাইট এবং চিনির মাত্রা হবে অন্যরকম।
স্মুদি: ইলেক্ট্রোলাইট-সমৃদ্ধ খাবারগুলিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আরেকটি চমৎকার উপায় হল স্মুদি। এতে সম্পূর্ণ খাবার যেমন ফল, বীজ, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি থাকে, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এখন যদি কেউ হারানো ইলেক্ট্রোলাইটগুলিকে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর উপায়ে প্রতিস্থাপন করতে চান তবে এই ধরনের পানীয়টি বেছে নিতে হবে।
