সংক্রামিত ব্যক্তিদের সঙ্গে বিছানাপত্র, জামাকাপড়, তোয়ালে শেয়ার করতে বারণ করা হয়েছে। সংক্রামিত ব্যক্তিদের জামাকাপড় এবং সুস্থ মানুষদের জামাকাপড় বা বিছানা একসঙ্গে না ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। দেহে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই ভিড় জায়গা বা কোনও অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। “ভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তিদের এবং সন্দেহভাজন রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। কোনও গুজব বা ভুল তথ্য বিশ্বাস করবেন না,” নির্দেশিকায় জানিয়েছে মন্ত্রক।
advertisement
আরও পড়ুন- কিছুই গোপন নয়! নতুন বিলের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল প্রত্যহার কেন্দ্রের
অন্যদিকে, দেশে উদ্ভূত মাঙ্কিপক্স পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং রোগের বিস্তার মোকাবিলায় উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্স দেশে ডায়াগনস্টিক সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়ে এবং রোগের জন্য টিকা সংক্রান্ত বিষয়েও সরকারকে সাহায্য করবে, পিটিআইকে জানিয়েছে সরকারি এক সূত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ হিসেবে গণ্য করে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। হু-এর মতে, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। এর লক্ষণগুলি স্মলপক্সের মতো হলেও কম গুরুতর।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মোদি! বাড়ল বিজেপির অস্বস্তি
মাঙ্কিপক্সের সাধারণ উপসর্গ হল জ্বর, ফুসকুড়ি এবং লিম্ফ নোড ফোলা। উপসর্গ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়। কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে বড় হাঁচি বা কাশির সঙ্গে নির্গত তরলের বড় ফোঁটার মাধ্যমে ঘটে যার জন্য সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগের প্রয়োজন হয়।
শরীরের তরল বা ক্ষতের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে এবং পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যম যেমন সংক্রামিত ব্যক্তির পোশাক বা বিছানার মাধ্যমেও হতে পারে। সংক্রামিত প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে পশু থেকে মানুষে সংক্রমণ হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার সাধারণ মানুষের মধ্যে ১১ শতাংশ, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তা বেশি। সাম্প্রতিক সংক্রমণে মৃত্যুর হার প্রায় ৩ থেকে ৬ শতাংশ।