#নয়াদিল্লি: কোনও কোম্পানি বা সরকার আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতেই পারে। কিন্তু কীভাবে? কোম্পানি এবং সরকার কীভাবে একজন ব্যক্তির নিজস্ব তথ্যকে ব্যবহার করতে পারে তা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল! তবে যৌথ সংসদীয় কমিটি এই বিলে ৮১ টি সংশোধনের পরামর্শ দেওয়ার পরে প্রত্যাহার করা হল এই বিল। সরকারি সূত্রের মতে, যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে একটি বিস্তৃত আইনি কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে যা একটি নতুন বিলের পথ প্রশস্ত করবে।
বিলে ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যা একজন ব্যক্তির শনাক্তকরণে সাহায্য করতে পারে এবং একজন ব্যক্তির পরিচয়ের বৈশিষ্ট্য, গুণাবলী এবং অন্যান্য তথ্যকে তুলে ধরতে পারে। বিরোধী দলগুলি জানিয়েছে, এই আইনটি সরকারের পক্ষে নাগরিকদের উপর নজরদারি করাকে সহজ করে তুলবে। সরকারের যুক্তি হল, তথ্যের অননুমোদিত ব্যবহারের জন্য যা জরিমানা রয়েছে তা এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুন - জওয়াহিরির মৃত্যুর পর আল-কায়দা সামলাবেন কে, উঠছে বিন লাদেনের বিশ্বস্ত কর্মীর নাম
২০১৯ সালে বিলটি প্যানেলে পাঠানো হয়েছিল। তখন বিরোধী দল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েছিল এই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল। বিরোধীদের মূল বক্তব্যই ছিল, ডেটা বা তথ্য গোপনীয়তা আইন নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে।
বিরোধী দলগুলি জানায়, আইনটি জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে আসলে ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য সবটাই সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মোদি! বাড়ল বিজেপির অস্বস্তি
আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন অপশনের জন্য বৃহৎ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন হবে এই আইনটির। সম্ভবত Facebook এবং এর WhatsApp এবং Instagram শাখা, Twitter সহ অন্যান্য কোম্পানিগুলির জন্য প্রযুক্তিগত এবং নীতিগত সমস্যাগুলি নিয়েও আলোচনা করবে এই আইন। ভারতে এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলি কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।