সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এগজিকিউটিভ এনক্লেভ–১–এর তিনটি নতুন ভবনের প্রথমটি—‘সেবাতীর্থ–১’—এই ভবনেই হবে প্রধানমন্ত্রীর নতুন দফতর। ভবনটি অবস্থিত বায়ুভবনের অদূরে সিপিডব্লিউডি নির্মিত নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা কমপ্লেক্সের মধ্যে।
সাবধান! অ্যালকোহলের সঙ্গে কোন খাবার একেবারেই খাবেন না? সতর্ক করলেন চিকিৎসকেরা
পড়িয়ে ফিরছিলেন ৭২ বছরের গৃহশিক্ষক, ধাক্কা মেরে বুকের উপর দিয়ে চলে গেল মিনিবাস!
advertisement
বাকি দুটি ভবন—‘সেবাতীর্থ–২’ এবং ‘সেবাতীর্থ–৩’—এ থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভালের দফতর।
সরকারি হিসেব বলছে, ‘সেবাতীর্থ’ নামকরণে মূল ভাবনা হল জনসেবার চেতনা তুলে ধরা। নতুন নামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দফতরকে “জনসেবার তীর্থক্ষেত্র” হিসেবে প্রতীকী মর্যাদা দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
সূত্রের খবর, ১৪ অক্টোবর থেকে ঠিকানা বদলের কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব টিভি সোমনাথ ইতিমধ্যেই তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে সেবাতীর্থ–২ ভবনে একাধিক বৈঠক করেছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ঠিকানা বদল হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রেস কোর্স রোডের নাম পরিবর্তন হয়ে লোককল্যাণ মার্গ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আনুষ্ঠানিক ঠিকানাও বদলে যায়।
সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্গঠন প্রকল্পের অংশ হিসেবে এবার পালা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের স্থানান্তরের। নতুন কমপ্লেক্স কার্যকরী হলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের একাংশের কার্যক্রম নতুন পরিকাঠামোতেই পরিচালিত হবে।
ইউনিয়ন হোম মিনিস্টার অমিত শাহ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি “উন্নত ও উৎকৃষ্ট ভারত গঠনের সোনালি যাত্রাপথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন।”
এক্স-এ দেওয়া পোস্টে শাহ লেখেন, “গত ১১ বছরে মোদী সরকার ক্ষমতার নয়, সেবার প্রতীক হয়ে উঠেছে। যেখানে সরকারের সর্বোচ্চ নেতা নিজেকে প্রধান সেবক হিসেবে দেখেন এবং সপ্তাহের সাত দিন, দিনে ২৪ ঘণ্টা মানুষজনের জন্য কাজ করেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই পথেই প্রধানমন্ত্রী শ্রী @narendramodi জি সেবার সংকল্প পুনরায় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নামকরণ করেছেন ‘সেবাতীর্থ’। পাশাপাশি রাজ ভবন ও রাজ নিবাসের নাম বদলে হচ্ছে ‘লোক ভবন’ ও ‘লোক নিবাস’। সেবা ও সুশাসনকে সর্বোচ্চ স্থানে রেখে প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি উন্নত ও উৎকৃষ্ট ভারত গড়ার সোনালি যাত্রাপথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
সরকারের এই সিদ্ধান্ত কর্তব্য পথের (পূর্বতন রাজপথ) ধারে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক অঞ্চলকে নতুনভাবে গড়ে তোলার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
