এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণেই মূলত মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় মহিলার। দিন কয়েক আগে অন্তসত্ত্বা অবস্থায় পর্তুগালের সান্তা মারিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বিগত কয়েকমাস ধরেই সেখানে প্রচণ্ড গরম এবং তারফলে হৃদরোগ সহ নানান কারণে অসুস্থতা বাড়ায় শয্যা খালি ছিল না। ফলে তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। যদিও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৮ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন মার্তা ট্যামিডো। করোনার সময়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল শক্তহাতে ধরেছিলেন তিনি। তবে ইদানীং দেশের মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং সর্বশেষ ভারতীয় মহিলার মৃত্যুর পর তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তই, মানিকেও বহাল একই রায়! হাই কোর্টে রাজ্যের বিপর্যয়
স্বাস্থ্যমন্ত্রকে থাকার তাঁর আর কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন মার্তা ট্যামিডো। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনিও কোস্টা টুইটারে লিখেছেন, "মার্তা ট্যামিডো যে কাজ করে গিয়েছেন, তারজন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে করোনা অতিমারীর সময়ে। পর্তুগিজদের আরও ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার জারি রাখবে সরকার।" তা নিয়েই এদিন সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, "পর্তুগালে মৃত ভারতীয় মহিলার মৃত্যুর খবর আমরা জানি। বিস্তারিত তথ্য আমি জানি না।
আরও পড়ুন: 'এই সংগঠন নিয়ে কিছুই হবে না', সুকান্ত, অমিতাভকে ফের তীব্র আক্রমণ অনুপমের!
তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।" পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করাকে হাতিয়ার করে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতি শিবির। তাদের প্রশ্ন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুমিছিলের দায় নিয়ে কেন পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রী।