আরও পড়ুন- "জনগণের কথাই সবার আগে ভাবি": পেট্রোল ডিজেলের দাম কমার পর মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরের সময়সূচি ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে একটি নির্দিষ্ট ধাঁচ মেনেই সফর করেন তিনি। বেশিরভাগ সময়ই রাতে বিদেশে পাড়ি দিতে ভালোবাসেন নরেন্দ্র মোদি। তারপর সারাটা দিন ব্যস্ততা এবং নানা বৈঠক, আলাপ আলোচনায় কাটিয়ে তারপরে পরবর্তী গন্তব্যে বিমানে পাড়ি দেন নরেন্দ্র মোদি। জাপান সফরেও এই নির্দিষ্ট ধাঁচের ব্যতিক্রম হবে না। ২২ মে, অর্থাৎ রবিবার রাতে রওনা দেবেন তিনি। ২৩ মে ভোরে টোকিওতে পৌঁছবেন এবং সরাসরি কাজে যোগ দেবেন।
advertisement
জাপানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে ভাষণও দেবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এর পরের দিন কোয়াড বৈঠকে যোগ দেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে সেই রাতেই ভারতে ফিরে আসবেন। নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বিদেশ সফরগুলির দিকে তাকালে বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী জার্মানি ও ডেনমার্কে মাত্র এক রাত কাটিয়েছেন। একইভাবে জাপান সফরেও তিনি মাত্র এক রাত কাটাবেন এবং রাতেই ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন- ছবি: চারধাম তীর্থযাত্রীদের দান! কেদারনাথ পরিণত হল প্লাস্টিক আবর্জনার স্তূপে!
প্রধানমন্ত্রী মোদি এই মাসে পাঁচটি দেশে সফর করেছেন। এই সব দেশে মোট তিনটি রাত কাটিয়েছেন তিনি। সময় বাঁচাতে তিনি বিমানেই চার রাত্রি কাটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বেশ কয়েক বছর ধরে চেনেন এমন এক ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদির নিশি ভ্রমণের পিছনের আসল কারণ। তাঁর কথায়, নব্বই দশকের শুরুর দিকে যখন একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে নরেন্দ্র মোদি ভ্রমণ করতেন তিনি বিশেষ ফ্রিকোয়েন্ট-ফ্লায়ার কার্ড ব্যবহার করতেন।
সেই সময়ে, তিনি দিনের বেলা গন্তব্যে যেতেন এবং সাধারণত শেষ রাতের ফ্লাইটে ফিরে আসতেন যাতে হোটেলে থাকার অর্থ বাঁচানো যায়। নরেন্দ্র মোদি প্রায়ই বিমান এবং বিমানবন্দরেই ঘুমাতেন, জানান ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র আরও জানিয়েছেন, সময় এবং সম্পদ বাঁচানো নরেন্দ্র মোদির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।