দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি এমন নদী রয়েছে, যেগুলির উপর দুই দেশই নির্ভরশীল। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদীটির নাম তিস্তা। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জল চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হলেও জট কাটেনি। তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, তিস্তার বদলে অন্য কোনও নদীর জল বাংলাদেশকে দেওয়া হোক। তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেওয়া হলে রাজ্যের মানুষকে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত হতে হবে। তাঁর মতে, উত্তরবঙ্গের মানুষের চাষাবাদ থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে জলের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা তিস্তার জল। ফলে রাজ্যের মানুষকে বঞ্ছিত করে পড়শি রাজ্যকে জল দিতে রাজি নন তিনি।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভাল। তবে, তিস্তার জলবণ্টন ইস্যুতে রাজ্যের মানুষের স্বার্থের সঙ্গে আপোশ করতে রাজি হননি মমতা।
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি কাণ্ডে সুবীরেশের ফ্ল্যাট সিল করল সিবিআই, বড় কোনও প্রমাণ এল হাতে?
আরও পড়ুন: নজরে অনুব্রতর 'শরীর', গাড়িতে বড় চমক! সিবিআই-এর বিশেষ 'ব্যবস্থা' নিয়ে শোরগোল
মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ভারত বাংলাদেশ নদী কমিশনের বৈঠক। তিন দিনের বৈঠকে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয় দুই দেশের মধ্যে। উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের নদী কমিশনের সদস্যও। আগামিকাল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দুই দেশের জলসম্পদ মন্ত্রী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে আলোচনা এবং দরকষাকষি চলছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। যদিও বিভিন্ন কারণে এখনও জট কাটেনি। ভারত বাংলাদেশ নদী কমিশনের বৈঠকের পর আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তিন দিনের ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয় সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে। ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনা।