যদিও মুসকান এবং তার প্রেমিকের যাবতীয় কারসাজি ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷ দু জনকেই গ্রেফতার করেছে মেরঠ পুলিশ৷ বুধবার আদালতে পেশ করা হলে তাদের দু জনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক৷ তবে জেলে নিয়ে আসার পর থেকেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিহত সৌরভের স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি৷
আরও পড়ুন: চামড়া উঠে আসছে, নড়বড় করছে দাঁত! মেরঠের নেভি অফিসারের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কী উঠে এল?
advertisement
মেরঠের চৌধুরী চরণ সিং সংশোধনাগারে এনে রাখা হয়েছে মুসকান এবং তার প্রেমিক সাহিলকে৷ মুসকানকে রাখা হয়েছে মহিলা বন্দিদের বারাকে৷ সাহিল রয়েছে পুরুষ বন্দিদের সঙ্গে৷ জেল সূত্রে খবর, বুধবার জেলে নিয়ে আসার পর সারারাতই কার্যত দু চোখের পাতা এক করেনি মুসকান৷ খুবই অস্থির হয়ে পড়ে স্বামীকে নৃশংস ভাবে খুনে অভিযুক্ত তরুণীকে৷ ঠান্ডা মাথায় নিজের স্বামীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে খুন করায় অভিযুক্ত মুসকান রাতের খাবারো খায়নি বলে জানিয়েছেন জেল সুপার ভিরেশ রাজ শর্মা৷
জেল সুপার বলেন, মুসকান সারারাত কারও সঙ্গেই কোনও কথা বলেনি৷ চুপচাপই ছিল সে৷ এমন কি, খাবার দেওয়া হলেও মুখে তোলেনি সে৷ জেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারা রাতই কেঁদেছে মুসকান৷ যদিও জেল সুপার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷
বুধবার যখন অভিযুক্ত দু জনকে আদালতে পেশ করা হয়, তখন আদালত চত্বরে আচমকাই কয়েকজন আইনজীবী সাহিলকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করে৷ ধস্তাধস্তির জেরে সাহিলের জামাকাপড়ও ছিঁড়ে যায়৷ কোনওক্রমে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ৷