আরও পড়ুন- ৯টি রাজ্যের উপর দিয়ে ৪২৪৭ কিমি পথ! ভারতে সবচেয়ে লম্বা দূরত্ব পাড়ি দেয় কোন ট্রেন?
প্রতিরক্ষা কর্মীদের নির্মাণস্থলের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ৮ টি এবং গতকাল ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, দু’টি নির্মাণ সংস্থার ১৪ জন কর্মচারী, পাঁচজন গ্রামবাসী এবং রেলের তিনজনসহ মোট ৩৪ জন এখনও নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। ভোর ৪ টেয় তল্লাশি শুরু হয়। উদ্ধারকারী দলগুলোকে সতর্কতা বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ফের বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
advertisement
তল্লাশি অভিযানে NDRF, SDRF, রাজ্য পুলিশ, অসম রাইফেলস এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশপাশি ৪৭০ জনেরও বেশি কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০ টিরও বেশি এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হচ্ছে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার জন্য। এই ধ্বংসাবশেষ জমে ইজাই নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ হচ্ছে, যার ফলে বিপদের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন আশেপাশের বাসিন্দারা। মাটি সরানোর মেশিন আনা হয়েছে ধ্বংসাবশেষ সরাতে। গুয়াহাটির একজন প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানিয়েছেন, থ্রু-ওয়াল রাডার সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সহায়তার জন্য কুকুরও নিয়োগ করা হচ্ছে। ওয়াল রাডার স্থির এবং চলমান বস্তুর শনাক্ত করতে এবং অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধারে এটি কার্যকরী।
আরও পড়ুন- মণিপুরে বীভৎস ভূমিধ্বস! ১৮ জন সেনা সহ মৃত ২৪! মাটির নীচে আটকে আরও বহু প্রাণ!
ওই মুখপাত্র আরও জানান, একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার সহ ১৪ জন প্রতিরক্ষা কর্মীদের মৃতদেহ তাঁদের নিজ শহরে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহ গন্তব্যে পাঠানোর আগে ইম্ফলে নিহত কর্মীদের পূর্ণ সামরিক সম্মানও প্রদান করা হয়।