সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিহত দুই কেএনএ সদস্য হলেন সেখোগিন (৩৪) এবং লেংগুহাও (৩৫)। নিহত লেংগুহাও কেএনও প্রধান পিএস হাউকিপের জামাতা বলেও জানা গেছে।
সাদা SUV-তে করে যাচ্ছিলেন, অতর্কিতে হামলা
সোমবার দুপুর ২টা নাগাদ চূড়াচাঁদপুর জেলার মংজাং গ্রামে এই হামলা ঘটে। ওই তিন কেএনএ সদস্য একটি সাদা SUV গাড়িতে যাচ্ছিলেন, তখনই প্রতিদ্বন্দ্বী জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (UKNA)-র সদস্যরা তাঁদের ওপর অতর্কিতে গুলি চালায়।
advertisement
মাছ নয় ‘মহৌষধ’! বাজারে থরে থরে সাজানো… খেলেই কমে সুগার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি নেই!
সাপের শত্রু ঘরের এই ৪ জিনিস! দরজায় ছুঁড়ে দিলেই কাছে আসবে না সাপ! বর্ষায় নো টেনশন!
হামলায় এক পথচারীও প্রাণ হারান। নিহত ওই সাধারণ নাগরিকের নাম ফালহিং (বয়স ৭২), তিনি চূড়াচাঁদপুরের কৈট এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
UKNA-র প্রতিশোধমূলক হামলার দাবি
পুলিশ সূত্রে খবর, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো একটি ইউকেএনএ বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই হামলা ছিল KNA-র হাতে ইউকেএনএ-র এক নেতা ও আরও ৩০ জন সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ। পুলিশ এই হামলার তদন্তে নেমেছে, এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে, তবে সরকারি বিবৃতি এখনও পর্যন্ত প্রকাশ পায়নি।
SoO চুক্তি ও সংঘর্ষের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
উল্লেখযোগ্যভাবে, KNO একটি স্বাক্ষরকারী সংগঠন Suspension of Operations (SoO) চুক্তিতে, যা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে করা হয়। এই চুক্তির অধীনে সদস্যদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে থেকে অস্ত্র গচ্ছিত রাখতে হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে থাকতে হয়।
কিন্তু ইউকেএনএ এই চুক্তির অংশ নয়। মার্চ ৮ তারিখে আসাম রাইফেলস চূড়াচাঁদপুরের হেংলেপ গ্রামে ইউকেএনএ-র একটি গোপন ক্যাম্প ধ্বংস করে দেয়। ক্যাম্পটি জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানায় সেনা।
সম্প্রতি, KNO ও UPF (United People’s Front)-এর নেতারা দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (MHA) আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মণিপুরের একাংশকে আলাদা প্রশাসনিক এলাকা বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
এই হামলা শুধু একটি ভিন্নমতপোষণকারী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ নয়, বরং রাজ্য-জাতিগত সহিংসতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির জটিলতায় মোড়া একটি বিপজ্জনক ইঙ্গিত।