গত ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের ৭২তম প্লেনারি অধিবেশন আয়োজিত হয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে একটি উচ্চ-স্তরের টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে হল ভয়াবহ দুর্ঘটনা? এবার সামনে এল ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজের মর্মান্তিক মৃত্যুর আসল কারণ
advertisement
সেই মোতাবেক ডোনার মন্ত্রক থেকে একটি উচ্চ-স্তরের টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই টাস্ক ফোর্সে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহাকে কনভেনর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ডিয়া, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংকে টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের রেফারেন্সের শর্ত অনুসারে ৬ মাসের মধ্যে এনইসির কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এই টাস্ক ফোর্স।
উত্তর পূর্বাঞ্চলে ইনভেস্টমেন্ট ইকোসিস্টেম, পলিসি, ইনসেনটিভ, পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি, পর্যটন, লজিস্টিকস, আইটি এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মতো অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলির জন্য পছন্দসই বিনিয়োগের সম্ভাবনা হিসেবে উত্তর পূর্বের অবস্থানের দরুণ একটি কৌশলগত রোডম্যাপ তৈরির কথা বলা হয়েছে। কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ জোন, পর্যটন সার্কিট, আইটি পার্ক এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির প্রসারের লক্ষ্যে বিনিয়োগ ক্লাস্টারগুলি তৈরি করতে গুরুত্ব দিয়েছে ডোনার মন্ত্রক। মূলত, সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলি প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডোনার মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে যে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপিএস) উপর জোর দিয়ে অগ্রাধিকার খাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আরও বলা হয়েছে যে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ নিরসনে নীতি সংস্কারের পরামর্শ দেবে টাস্কফোর্স। আর এই টাস্ক ফোর্স গঠন করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।