জানা গিয়েছে, পুলিশ লাইনের কাছে, মহারাণা প্রতাপ নগরের ওয়ার্ড নম্বর ১৩-এ ভাড়া বাসায় থাকতেন লেডি কনস্টেবল উপাসনা বঘেল৷ তাকেই হত্যা করেছে তার স্বামী বিশাল বঘেল৷ বিশাল সাফ প্রথম ব্যাটালিয়ন, ইন্দোরে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, লেডি কনস্টেবল উপাসনা সিংহ এবং অভিযুক্ত স্বামী বিশাল বঘেল সিভানী জেলার বাসিন্দা। ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। উপাসনা বালাঘাট পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন, আর স্বামী ইন্দোর ব্যাটালিয়নে। তাদের এক ছোট ছেলে ছিল। গত এক বছর ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: এসির শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, ঘুমের মধ্যেই ঝলসে গেল মা ও শিশুদের দেহ! বিস্তারিত জানুন
পারিবারিক বিবাদের জেরে, ২০২৩ সালে অভিযুক্ত স্বামী বিশাল তার শ্বশুর ও শ্বশুরবাড়ির এক সদস্যের প্রাণনাশেরও চেষ্টা করেছিল। তার বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় মামলা হয়েছিল এবং তাকে জেলেও পাঠানো হয়েছিল। ব্যাটালিয়ন তাকে সাসপেন্ড করেছিল। সম্প্রতি বিশাল বঘেল পুনরায় দায়িত্বে ফিরেছিলেন। এই সময় লেডি কনস্টেবল উপাসনা সিংহ তার মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন।
করভাচৌথের সময় বিশাল বঘেল জোর করে তাদের সঙ্গে থাকতে আসেন। পারিবারিক বিবাদের জেরে বিশাল তার স্ত্রীর হত্যা করে। পরের দিন সকালে কোতওয়ালি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে হত্যার বিষয়টি জানায়। পুলিশ একাধিক দিক নিয়ে তদন্ত করছে। ডিএসপি-সহ কোতওয়ালি পুলিশ, এফএসএল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত করেছে। ডিএসপি সোনম ঝরবড়ে জানিয়েছেন যে এটি একটি পারিবারিক বিবাদের কারণে ঘটেছে। তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মদ খেয়ে বাবার মার্সিডিজে মহিলাকে চাপা ছেলের, ধাক্কা বাইকেও!
মৃতার বড় চাচা হরনাম সিং বঘেল জানিয়েছেন, “বিয়ে পরবর্তী তারা বালাঘাটে থাকত। গত বছর ২০২৩ সালে বিশাল উপাসনাকে মারধর করেছে। উপাসনা বাড়িতে ফোন করেছিল। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি৷ বিশাল তাদের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং তার শ্বশুরকে আক্রমণ করে। এফআইআর দায়ের হয়, এবং বিশাল সাসপেন্ড হয়। পরে ইন্দোরে গিয়ে সে পুনরায় চাকরিতে ফিরে আসে। করভাচৌথের সময় এসে উপাসনার সঙ্গে জোর করে থাকতে শুরু করে। এখন খবর পাওয়া গিয়েছে যে, সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।”
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মৃতার ভাইও৷ বলেছেন, “আমার বোনের বিয়ে প্রায় চার বছর আগে হয়েছিল। আমার দাদা বোনের বেতনের টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল।”