রোহতক পুলিশ জানাচ্ছে, শহরের বাবা মাস্তনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাসনের শিক্ষক হিসাবে চাকরি করতেন জগদীপ নামের এক ব্যক্তি৷ চাকরির কারণেই রোহতকের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি৷ সেই বাড়ির মালিকের নাম ছিল হরদীপ৷
পুলিশ জানিয়েছে, হরদীপ সন্দেহ করতেন জগদীপের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী গোপনে পরকীয়া চালাচ্ছেন৷ সেটা জানতে পেরেই বন্ধুদের সঙ্গে জগদীপকে খুনের চক্রান্ত করেন বাড়ির মালিক৷
advertisement
জানা গিয়েছে, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর জগদীপ যখন কাজ থেকে ফিরছিলেন, তখন বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে তাঁকে কিডন্যাপ করেন হরদীপ৷ তারপর তাঁকে পন্তবসের চরখি দাদরি গ্রামে নিয়ে যান৷ সেখানে নিয়ে গিয়ে হরদীপ ও তাঁর বন্ধুরা স্থির করেন জগদীপকে জ্যান্ত কবর দেবেন৷ দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয় জগদীপের হাত পা৷ মুখে লাগিয়ে দেওয়া হয় টেপ, যাতে জগদীপ চিৎকার না করতে পারেন৷ এরপর, জগদীপকে জ্যান্তই ওই ৭ ফুট গভীর গর্তে ফেলে পুঁতে দেন হরদীপ ও তাঁর বন্ধুরা৷
তবে এই খুনের কথা এতদিন পর্যন্ত অজানাই ছিল৷ জগদীপ হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ায়, তাঁর পরিবার তাঁর জন্য মিসিং ডায়েরি করে৷ শিবাজি কলোনি থানার পুলিশ গত ৩ জানুয়ারি সেই মিসিং কমপ্লেইন্টের তদন্ত শুরু করে৷ সেখান থেকেই জগদীপের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা শুরু হয়৷
এরপর একে একে সন্দেহ পরে হরদীপ ও তাঁর এক বন্ধু ধর্মপালের উপরে৷ অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতেই পুলিশের জানতে পারে খুনের গোটা ঘটনা৷
গত ২৪ ডিসেম্বর খুন হওয়ার ৩ মাস পরে গত ২৪ মার্চ ওই বোর ওয়েল খুঁড়ে উদ্ধার হয় জগদীপের দেহ৷