আরও পড়ুন: গোয়ায় তৃণমূলের জোটে থাকবে না, মমতার প্রস্তাব ফিরিয়ে জানালো কংগ্রেস
বিজেপির জোট ছেড়ে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করল তারা। মঙ্গলবার পানাজিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee In Goa) জনসভা থেকে সেই জোটের ঘোষণা হয়। আর এই সভা থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্য ছিল, “আমাদের জোট দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে।” একইসঙ্গে নাম না করে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মমতার, “ভোট কাটবেন না। গোয়ায় আমরাই জিতব। আমরাই সরকার গড়ব।”
advertisement
মঙ্গলবার ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee In Goa) সফরের দ্বিতীয় দিন। এদিন পানাজিতে সভা করেন তিনি। সভাতে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রবাদি গোমন্তক পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই জনসভা থেকে মমতার ঘোষণা, “তৃণমূল-এমজিপি একসঙ্গে লড়াই করবে। বিজেপিকে হারাতে জোট বাঁধুন।” তৃণমূল-এমজিপি জোটকে ‘যৌথ পরিবার’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি। MGP -কে সঙ্গে নিয়ে গোয়ার উন্নয়ন করার ডাক দেন মমতা। এই জোট যে কেবল আসন সমঝোতার জোট নয়, তাও সভা থেকে স্পষ্ট করে দেন মমতা। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা এমজিপি-র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ইস্তেহার তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী? উত্তরের খোঁজে বুধবার ফের হাই কোর্টে গেরুয়াশিবির...
এদিনও বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলকে গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, বেনোলিমের সভা থেকে কংগ্রেসকে তৃণমূলের জোটে আসার ডাক দিয়েছিলেন মমতা। তবে সভা থেকে কংগ্রেসকে মমতার কড়া বার্তা, “যারা বিজেপি বিরোধিতা করছেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে আসুন। আর না এলেও ভোট কাটবেন না।” নিজেদের গোয়ার প্রকৃত বিকল্প দাবি করে মমতা ফের একবার অন্যদের একসঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। তিনি বলেন, "যারা বিজেপিকে হারাতে চান তারা আসুন। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। বিজেপিকে হারাতে যারা আসতে চান আমাদের সঙ্গে আসুন।"
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, ২০১৭ সালে গোয়ায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার পিছনে অন্যতম কারিগর ছিল মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি (MGP)। তাদের তিনজন বিধায়ক গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করেছিল। পরে অবশ্য ২০১৯ সালে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে এই দল। এবার তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল তারা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “বিজেপিকে যারা ক্ষমতায় এনেছিল তাঁরাও এবার বুঝতে পারে, বিজেপি কেমন পার্টি।” এদিন লখিমপুর কাণ্ড নিয়েও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেন, এই ঘটনার দায় নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।