চিঠিতে বলা হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হেনস্থা করতেই সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজনীতিক যাঁরা পরবর্তীতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় শুভেন্দু অধিকারী এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেও নিশানা করা হয়েছে বিরোধীদের দেওয়া চিঠিতে। চিঠিতে রাজ্যপালের অফিসের বিরুদ্ধে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগও করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে রাজ্যপালরা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদ সৃষ্টি করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর জেলায় পিকে-র টিমের কর্মীরা, গাড়িতে এমন কাণ্ড ঘটালেন, তুঙ্গে উঠল বিতর্ক
বিরোধী নেতারা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তারা। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী দল গুলোর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: দোলে শিয়ালদহ-হাওড়া শাখায় ২৩৩টি লোকাল ট্রেন বাতিল, যাত্রীরা অবশ্যই জানুন
বিরোধীদের দেওয়া এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও, আরজেডি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ইউবিটি নেতা উদ্ধব ঠাকরে, জেকেএনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান।
তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় বিরোধী নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি সদরথক প্রচেষ্টা। দেশের প্রত্যেকটা তদন্ত সংস্থা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য ব্যবহার করা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সরব হয়েছেন এজেন্সিগুলোর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে।" তিনি আরও বলেন, আজ যারা এর সমর্থনে আসেনি আশা করা যায় ভবিষ্যতে তারা একই মঞ্চে আসবেন। বিরোধীদের এই পদক্ষেপের পর আশা করা যায় প্রধানমন্ত্রী এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে বলা হয়েছে যে, "সিসোদিয়ার গ্রেফতারের ঘটনা একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারতের জন্য শুভ নয়। বিরোদীদের উপরে কেন্দ্রীয় সংস্থার নির্লজ্জ অপব্যবহারের জেরে মনে হচ্ছে আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে চলেছি।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে ,২৬ ফেব্রুয়ারি, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই গ্রেফতারর করে। গ্রেফতারের সময় তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখান হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে যেসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বিরোধী দলের। " পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির আজম খান, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, এনসিপি-র নবাব মালিক সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দ্বারা হেনস্থা করা হচ্ছে সে বিষয়েও একজোটের সরব হয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব।