রাজনৈতিক মহল বলছে, বিদ্রোহী বিধায়কদের ফের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করতে পারে শিবসেনা। সেক্ষেত্রে তীরে এসে তরী ডুবতে পারে বিজেপির। তাই আর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই আগেভাগে বিদ্রোহী বিধায়কদের মুম্বইতে আসতে নিষেধ করছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধান।
আরও পড়ুন: "যারা অটোরিকশা চালাত তাঁদের আমরা বিধায়ক বানিয়েছি": পদত্যাগের পর শিন্ডেকে আক্রমণ উদ্ধবের
advertisement
এদিকে, ইস্তফা দিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করব না, আমি আবার নতুন শিবসেনা তৈরি করব। আমি এনসিপি এবং কংগ্রেসের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যে তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন।” শিবসেনা বিধায়ক অনিল পরব রাজ্যপালের কাছে উদ্ধবের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, ওই পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার আগেই উদ্ধব তাঁর পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। উদ্ধব জানিয়েছিলেন, তাঁর নিজের মানুষজনই তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
আরও পড়ুন: অটোচালক থেকে আজ মহারাষ্ট্র রাজনীতির নিয়ন্ত্রক, একনাথ শিন্ডের জীবন 'সিনেমার মতো'!
এদিকে, বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে চন্দ্রকান্ত পাটিল জানান, পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং একনাথ শিন্ডে নেবেন। মহারাষ্ট্রে সংকটের কার্যত অবসান হল বুধবার রাতে। পদত্যাগ করলেন মহা-বিকাশ আগাড়ির মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা জানিয়ে দেন উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলার নিরিখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এনসিপির অনিল দেশমুখ ও নবাব মালিক বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোটে ভোট দিতে পারবেন। পাশাপাশি, শিবসেনার আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সরাসরি জানিয়ে দেয়, বৃহস্পতিবারই হবে আস্থা ভোট। তার পরেই রাত সাড়ে নটা নাগাদ উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
