Eknath Shinde: অটোচালক থেকে আজ মহারাষ্ট্র রাজনীতির নিয়ন্ত্রক, একনাথ শিন্ডের জীবন 'সিনেমার মতো'!

Last Updated:
Eknath Shinde: উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালাসাহেব ঠাকরেই ছিলেন একনাথ শিন্ডের রাজনৈতিক গুরু। ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিয়ারিং হাত নিয়েছেন তিনি।
1/5
 তুমুল শোরগোল মহারাষ্ট্রে। মারাঠি রাজনীতিতে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। আর তাঁর সেই চালেই বাজিমাত উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার রাতেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উদ্ধব। আর বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে মুম্বইয়ে আসার পরিকল্পনা পাকা একনাথ শিন্ডের। কিন্তু কে এই একনাথ শিন্ড? কীভাবেই বা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাঁর এই উত্থান?
তুমুল শোরগোল মহারাষ্ট্রে। মারাঠি রাজনীতিতে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। আর তাঁর সেই চালেই বাজিমাত উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার রাতেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উদ্ধব। আর বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে মুম্বইয়ে আসার পরিকল্পনা পাকা একনাথ শিন্ডের। কিন্তু কে এই একনাথ শিন্ড? কীভাবেই বা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাঁর এই উত্থান?
advertisement
2/5
৫৮ বছর বয়সী একনাথ শিন্ডের জীবন শুরু কিন্তু অটোচালক হিসেবে। উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালাসাহেব ঠাকরেই ছিলেন একনাথ শিন্ডের রাজনৈতিক গুরু। ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিয়ারিং হাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কারণেই গদি টলে গেল উদ্ধব ঠাকরের।
৫৮ বছর বয়সী একনাথ শিন্ডের জীবন শুরু কিন্তু অটোচালক হিসেবে। উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালাসাহেব ঠাকরেই ছিলেন একনাথ শিন্ডের রাজনৈতিক গুরু। ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিয়ারিং হাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কারণেই গদি টলে গেল উদ্ধব ঠাকরের।
advertisement
3/5
আদর্শ ছিল বালাসাহেব ঠাকরে। ৫৮ বছরের একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু। রাজনীতির কারণেই তিনি সাতারা ছেড়ে চলে এসেছিলেন শিবসেনার মূল ঘাঁটি থানেতে। মহারাষ্ট্রে তোলপাড়া ফেলে শিন্ডে বলছেন, বালাসাহেবের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি শেখা উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে তিনি কখনই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না।
আদর্শ ছিল বালাসাহেব ঠাকরে। ৫৮ বছরের একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু। রাজনীতির কারণেই তিনি সাতারা ছেড়ে চলে এসেছিলেন শিবসেনার মূল ঘাঁটি থানেতে। মহারাষ্ট্রে তোলপাড়া ফেলে শিন্ডে বলছেন, বালাসাহেবের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি শেখা উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে তিনি কখনই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না।
advertisement
4/5
প্রথমে তিনি বলেছিলেন শিবসেনার ১০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে আছে, পরে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ২১ আর গুজরাট থেকে গুয়াহাটি গিয়ে একনাথ শিন্ডে দাবি করেন, তাঁর পক্ষে শিবসেনার ৪০ বিধয়কের সমর্থন রয়েছে। দলের এক তৃতীয়াংশই তাঁর পক্ষে রয়েছে। এরই মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয় বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস আর এনসিপিকে ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য উদ্ধবকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি উদ্ধব।
প্রথমে তিনি বলেছিলেন শিবসেনার ১০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে আছে, পরে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ২১ আর গুজরাট থেকে গুয়াহাটি গিয়ে একনাথ শিন্ডে দাবি করেন, তাঁর পক্ষে শিবসেনার ৪০ বিধয়কের সমর্থন রয়েছে। দলের এক তৃতীয়াংশই তাঁর পক্ষে রয়েছে। এরই মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয় বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস আর এনসিপিকে ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য উদ্ধবকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি উদ্ধব।
advertisement
5/5
শিবসেনায় যোগ দেওয়ার আগে দীর্ঘদিন অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন শিন্ডে। দলের শ্রমিক ইউনিয়নও চালু করেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একনাথ শিন্ডেকে। ১৯৯৭ সালে মিউনিসিপ্যল কর্পোরেশনের ভোটে লড়াই করে জেতেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান দীপেশ ও শুভদা, দুজনেরই মৃত্যু হয় জলে ডুবে। এই দুঃখের দিন কাটিয়ে ২০০১ সালে কর্পোরেশনের সেনা নেতা হন। তাঁকে থানেতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পান তিনি। ২০০৫ সালে প্রথমবার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। আর তাতেই তিনি সফল হন। তারপর থেকেই শিবসেনা অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েন শিন্ডের ওপর। ২০০৬ সালে বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে দল ছাড়লে শিন্ডের দাপট বেড়ে যায়।
শিবসেনায় যোগ দেওয়ার আগে দীর্ঘদিন অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন শিন্ডে। দলের শ্রমিক ইউনিয়নও চালু করেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একনাথ শিন্ডেকে। ১৯৯৭ সালে মিউনিসিপ্যল কর্পোরেশনের ভোটে লড়াই করে জেতেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান দীপেশ ও শুভদা, দুজনেরই মৃত্যু হয় জলে ডুবে। এই দুঃখের দিন কাটিয়ে ২০০১ সালে কর্পোরেশনের সেনা নেতা হন। তাঁকে থানেতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পান তিনি। ২০০৫ সালে প্রথমবার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। আর তাতেই তিনি সফল হন। তারপর থেকেই শিবসেনা অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েন শিন্ডের ওপর। ২০০৬ সালে বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে দল ছাড়লে শিন্ডের দাপট বেড়ে যায়।
advertisement
advertisement
advertisement