Network18 গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আদিত্যনাথ মহা কুম্ভের বার্তা সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই মেলা দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করেছে। তিনি বলেছেন, ধর্মীয় সমাবেশ জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় বা লিঙ্গের ভিত্তিতে বৈষম্য করে না। সকলেই প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে স্নান করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন- যুবদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এবার স্টার্টআপ পলিসি চালু ত্রিপুরায়
“মহা কুম্ভ শুধুমাত্র একটি বার্তা প্রচার করে। এখানে কোনও জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় বা লিঙ্গ বৈষম্য নেই। সঙ্গমে সব মানুষ স্নান করতে পারে, কোনো ভেদাভেদ নেই। মহা কুম্ভের বার্তা হল একতা এবং অখণ্ডতার। এটি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া উচিত, বলেছেন আদিত্যনাথ।
তিনি আরও বলেছেন, “যদি সমস্ত সাধু, ভক্ত বা এমনকী পর্যটকরা, যাঁরা মহাকুম্ভের অংশ, তারা ঐক্যের বার্তা দেন, তবে সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হবে। আর সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হলে আমাদের দেশ আরও শক্তিশালী হবে।”
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি কুম্ভমেলাকে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার সমার্থক করে তুলেছে। এটা তাঁর নেতৃত্বের ফল। সমস্ত আয়োজন দেখার মতো। এত বড় একটা মেলা কতটা দুর্দান্তভাবে সংগঠিত হতে পারে তার একটি উদাহরণ কুম্ভমেলা।
আরও পড়ুন- পুণেতে বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কতটা ভয়ের জিবিএস? জানুন বিশদে
আদিত্যনাথ বলেছেন, মহাকুম্ভে আধুনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণ হয়েছে। বিশ্ব পর্যটকদের জন্য এটি প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এই মেলায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে, সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন আয়োজন আগে কোনও সরকার করেনি।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শুধু হিন্দুরাই নয়, অন্য যে কোনও সম্প্রদায়ের মানুষ সঙ্গমে ডুব দিয়েছে, তাঁরাও কুম্ভমেলার প্রশংসা করেছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের ঠিক এক বছর পরে কুম্ভমেলার এই আয়োজন করা সৌভাগ্যের বিষয়।
“২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে। রামলালা এখন তাঁর নির্ধারিত আবাসে রয়েছেন। আমি সেখানে একজন সেবক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। কুম্ভ আয়োজনের সৌভাগ্যও হয়েছে… উত্তরপ্রদেশ যে নতুন সাফল্যের গল্প লিখছে তা সবই প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতার ফল।” বলেছেন আদিত্যনাথ।