তথ্যমতে, কুনোতে একটি ভাগ্যবান ছাগল রয়েছে যা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ তাকে শিকার করতে পারেনি। জানা গেছে, প্রায় ২০ বার শিকারের জন্য এই ছাগলটিকে বেঁধে রাখা হলেও প্রতিবারই বেঁচে গেছে। কুনোতে এই চিতাগুলির আগে, ছয়টি চিতাবাঘ আনা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে শোরগোল দুনিয়া জুড়ে! বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, বন্ধ ইন্টারনেট
কিন্তু এই চিতাবাঘরাও সেই ছাগলকে খাবার হিসেব গ্রহণ করেনি। এই ছাগলটিকে এখনও বনে আনন্দে চরতে দেখা যায়। কুনো ন্যাশনাল পার্কের কর্মচারীরা একে ভাগ্যবান ছাগল বলেন কারণ বলির পাঁঠা বানানোর পরেও এটি প্রতিবার বেঁচে যায়। বন দফতরের কর্মীদের মতে ১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকাটিকে সম্পূর্ণ চিতাবাঘ মুক্ত করা হয়েছে। তাই মনে হচ্ছে এর কারণেই এই ছাগল এখন চিতাবাঘের খাবার হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: সাইকেল আরোহীকে আক্রমণ চিতাবাঘের! পুরনো ভাইরাল ভিডিও দেখে আঁতকে উঠল নেটিজেনরা
চিতাবাঘের উপস্থিতি বন দফতরের আধিকারিকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২ মাস আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল এই চিতাবাঘের কারণে প্রজেক্ট চিতা সমস্যায় পড়তে পারে। ১৫ অগাস্ট চিতাদের আসার কথা ছিল, কিন্তু তাদের আগমন স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে এইসময় চিতাবাঘগুলো ধরার চেষ্টা করছে বন দফতর।
একইসঙ্গে বন দফতরের আধিকারিকদের মতে, কুনো পার্কে ৬টি চিতাবাঘ ছিল। আর একে একে ধরা পড়েছে ওরা। বিভিন্ন স্থানে খাঁচায় ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণীকে পশুখাদ্য হিসেবে বেঁধে রাখা হয়। এবং পরে তাদের অন্য বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
