এটা নিয়ে ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ থাকলেও কোনওভাবে এই প্রবণতাকে কমানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার খুব সকালবেলায় ফুলবাগান থানা এলাকার রবীন্দ্র সরোবরে লেকের পাশে বছর ৩৭ -র এক ব্যক্তির গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে অজয় দাস বেলেঘাটা মিলন মন্দিরের সুরা থার্ড লেনের বাসিন্দা। তার স্থায়ী রোজগার ছিল না। যখন যেটা পেত, সেই কাজ করত। রোজগারের টাকা দিয়ে সে সারাদিন নেশা করেই থাকত।
advertisement
অজয়ের ভাইয়ের বক্তব্য, ‘দাদার রোজগার ছিল না। সব সময় নেশাগ্রস্ত থাকত এবং মানসিক চাপে থাকত। বাড়িতে মা অন্ধ। রাত্রেবেলা আমার পাশেই শুয়ে ছিল ।কখন উঠে গিয়ে লেকের পাড়ে গলায় দড়ি নিয়েছে !জানতেই পারিনি।’ পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। সমাজকর্মীদের বক্তব্য,প্রতিটি মানুষের নেশা প্রথম থেকে শুরু হয় বিড়ি সিগারেট দিয়ে।তারপর সেটা তরল নেশা থেকে আরম্ভ করে আরো কঠিন নেশায় পৌঁছায়।নেশা করবার সুযোগ রয়েছে আমাদের দেশে।
কিন্তু নেশা ছাড়াবার জন্য কোন কঠিন আইন নেই। যার ফলে নেশায় যারা পড়ছে, তারা নেশা চক্র ছেড়ে সহজে বের হতে পারছে না। দিনের খাবারের খরচের থেকে নেশার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে মানুষ আরও বেশি অবসাদগ্রস্ত হচ্ছে। তার থেকেই নাকি আত্মহনন বা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে বেশির ভাগ। কয়েকদিনের মধ্যে এই নিয়ে দুজনের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেল। একটি বাগুইহাটি আর একটি বেলেঘাটায়।