তবে, সাগরের ড. হরিসিং গৌর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একটি ঘটনা সকলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এই ঘটনার পর, অন্যান্য জায়গাতেও ওয়াটার কুলার পরীক্ষা না করেই জল পান করতে কেউ সাহস করবে না।
বুধবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ওয়াটার কুলারের জল পান করার জন্য গিয়েছিল। বোতলে জল ভরে পান করতেই দুর্গন্ধ টের পায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা কুলারের ঢাকনা খুলতেই চমকে যায়। কুলারের ভেতরে একাধিক মৃত ব্যাঙ ও টিকটিকি ভাসছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ওয়েটিং-এ আছে ট্রেনের টিকিট, কনফার্ম হবে কি না বুঝতে পারছেন না! জানুন রেলের ‘সিক্রেট’ ফর্মুলাটি
শীতকালে কুলারের ভেতরে ঢুকে আটকে পড়া এই প্রাণীগুলো জলের কারণে মারা যায়। গরম পড়তেই কুলার চালু করা হয়, কিন্তু পরিষ্কার না করেই! ফলে ছাত্ররা পচা জল পান করছিল, যা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কয়েকদিন ধরেই ছাত্ররা কুলারের জল থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিল। বারবার অভিযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বুধবার ফের একই অভিজ্ঞতা হওয়ায় ছাত্ররা নিজেরাই কুলারের ঢাকনা খুলে ফেলে এবং মৃত টিকটিকি ও ব্যাঙ ভাসতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপরই কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে গোপনে থানায় পৌঁছান লাইনম্যান, চুপচাপ করলেন এই বিশেষ কাজ! তারপর যা হল…
ঘটনা সামনে আসতেই কলেজ প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের দাবি, তারা এ নিয়ে আগে কোনও অভিযোগ পাননি। তবে, ছাত্রদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে তারা বহুবার অভিযোগ করেছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন ছাত্ররা নিয়মিত ওয়াটার কুলারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।
তাদের বক্তব্য, পরিষ্কার ও নিরাপদ জল পাওয়া তাদের অধিকার। এমন অনিয়ম ভবিষ্যতে শুধু অসুস্থতার কারণই নয়, প্রাণঘাতীও হতে পারে। এমন ঘটনা একবার সামনে আসার পর, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সতর্ক হবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়!