ভোররাতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বহু যাত্রীর প্রাণ। আহত অনেকে। (পটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেসের মোট ২২টি কামরা ছিল। দুর্ঘটনায় পড়ে মোট ১৪টি কামরা।)
ট্রেনের মোট কামরা
- এসি ২ টিয়ার কামরা ২টি
- এসি ৩ টিয়ার কামরা ২টি
- স্লিপার কোচ ১২টি
- অসংরক্ষিত কামরা ৪টি
- মহিলা কামরা ১টি
- লাগেজ-প্রতিবন্ধী কামরা ১টি
advertisement
এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোচগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল ইন্দোর কোচিং ডিপো। এমন কামরা রয়েছে আরও কয়েকটি ট্রেনে।
কোন ট্রেনে পুরনো কামরা?
- ওই কামরা রয়েছে ইন্দোর-রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেসে
- রয়েছে ইন্দোর-পুণে এক্সপ্রেসে
- পুরনো কামরা ইনদওর- নাগপুর এক্সপ্রেসে ও
- শিপ্রা এক্সপ্রেসেও
এই ধরনের মান্ধাতার আমলের কামরাগুলির জন্য নির্দিষ্ট গতিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গতিতে নিষেধাজ্ঞা
- ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টা প্রতি ৬৬ কিমি
ফলে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ট্রেন তার বেশি জোরে ছোটানো সম্ভব ছিল না।
- জার্মান প্রযুক্তির এলএইচবি বা লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচ থাকলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনেকটাই এড়ানো যেত। কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই কোচে?
এলএইচবি কোচের সুবিধা
- এই ধরনের কোচ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিমি গতিতে ছুটতে পারে
- আঘাতের অভিঘাত এড়াতে কোচের ভিতরে রাবার প্যাডিং
- কামরাটি তৈরি হয় স্টেইনলেস স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে
- দুর্ঘটনায় শক অ্যাবজর্ভার হিসেবে থাকে অ্যান্টি টেলিস্কোপিক প্রযুক্তি
- তাতে দুর্ঘটনার সময় বগিগুলি একে অপরের ঘাড়ে উঠে যায় না
- কমে হতাহতের সংখ্যা
- প্রতি কোচে আধুনিক নিউম্যাটিক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম
২০১০ সাল থেকেই এই ধরনের কামরা ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় রেলে। তবে তার গতি অত্যন্ত ধীর।
কোথায় এলএইচবি কামরা নির্মাণ
রেল কোচ ফ্যাক্টরি কাপুরথালা
২০১০-১১ সালে ৩০০টি কামরা
২০১২-১৩ সালে ১৬৮০টি কামরা
২০১৩-১৪ সালে ১৭০১টি কামরা
ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি
২০১৩-১৪ সালে ২৫টি কামরা
২০১৪-১৫ সালে ৩০০ কামরা
২০১৬-১৭ সালে ১০০০ কামরা
রেল কোচ ফ্যাক্টরি রায়বরেলিতে ১০০০টি কোচ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্ত পুরনো কোচ বদলে এলএইবি প্রযুক্তির নয়া কোচ চালু করা ভারতীয় রেলের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সেই কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু, এতদিনেও এলএইচবি কোচ পুরোপুরি ব্যবহার না করার খেসারত দিচ্ছেন রেলযাত্রীরা।