গুজরাটি ভাষায় লেখা চিঠিতে লতা হীরাবেনকে লিখেছিলেন, 'শুভেচ্ছা আপনার ছেলে ও আমার ভাইকে, ঈশ্বর রামের কৃপায় ফের একবার উনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আমি আপনার ও নরেন্দ্রভাইয়ের সাধারণ জীবনকে কুর্নিশ জানাই। শুভকামনা জানাই প্রহ্লাদভাই ও পঙ্কজভাইকে (মোদির দুই ভাই) এবং আপনার গোটা পরিবারকে। ঈশ্বরের কাছে আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমি প্রথমবার গুজরাটিতে লিখছি, কোনও ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।'
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর
রবিবার ৯২ বছরে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। সুরের রানির প্রয়াণের পরই গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়। গত প্রায় একটা মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়ার সমস্যাও। চিকিৎসকা বারবার জানাচ্ছিলেন, সেরে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বয়সের কারণে সেরে উঠতে সময় লাগছে তাঁর। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিরানব্বই বছর বয়সে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর।
আরও পড়ুন: 'দিদি ও আমি, চিরকাল একসঙ্গে থাকব', ছোটবেলার ছবি পোস্ট ভারাক্রান্ত আশা ভোঁসলের!
গতকাল গায়িকার মৃত্যু ভারতের সংস্কৃতি জগতে তৈরি করেছে এক শূন্যতা। আর এই শূন্যতা কোনওদিন পূরণ হবে না বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের খবরে ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে জানান তিনি নির্বাক। মোদি লিখেছেন, 'আমি আমার ব্যথার কথা বলে প্রকাশ করতে পারব না। দয়ালু এবং যত্নশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যতা রেখে গেলেন যা পূরণ করা যাবে না। ভবিষ্যত প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অকুতোভয় হিসেবে মনে রাখবে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল।'