বাবার নাম লালু প্রসাদ যাদব৷ বিহার রাজনীতির ইতিহাস লেখা হলে যাঁর নাম থাকবে ছত্রে ছত্রে৷ সেই লালু প্রসাদের কাছেই প্রথম থেকে তেমন কদর নেই তাঁর বড় ছেলের৷ কারণ অবশ্যই তাঁর কাণ্ড কীর্তি৷ তুলনায় ছোট ছেলে তেজস্বীই বাবার কাছের৷ দু’বার রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন তিনি৷ কিন্তু, ঠিক যখন বিহারের দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন দাঁড়িয়ে রয়েছে, সব দল এক এক করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই RJD-র ‘মুখ পুড়িয়ে’ দিলেন তেজ প্রতাপ৷
advertisement
তেজ প্রতাপ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনৈক অনুষ্কার সঙ্গে মাখোমাখো ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ দাবি করেন, গত ১২ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে এই অনুষ্কার ‘সম্পর্ক’ রয়েছে৷
সেই ছবি হুহু করে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ ছি ছি পড়ে যায় চতুর্দিকে৷ মুখ খোলেন স্ত্রী ঐশ্বর্যাও৷ ওই ছবির প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিক বৈঠকে লালু প্রসাদের বাড়ির বড় বউ তখন বলেছিলেন, ‘‘এখন সবাই সত্যিটা জানে৷ যখন আগে থেকেই সবাই সব জানত, তাহলে আমায় বিয়ে করেছিল কেন ও? কেন আমার জীবনটা শেষ করে দিল?’’
ঘটনার পড়ে চূড়ান্ত বিতর্ক তৈরি হলে লালু প্রসাদ পরিবার থেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেন বড় ছেলে তেজ প্রতাপকে৷ দল RJD থেকেও আগামী ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দেন৷ বাড়ি থেকে বের করে দেন ছেলেকে৷ ছবি পোস্ট করা নিয়ে অবশ্য তেজ প্রতাপ দাবি করেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছিল৷ বিতর্কিত সেই ভাইরাল ছবি ডিলিটও করে দেন তিনি৷
তাতেও থামেনি৷ এই সব ঘটনার এক মাস পরে ফের সেই অনুষ্কার বাড়িতে দেখা গেল তেজ প্রতাপকে৷ টাকা ৫ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন লালু পুত্র৷ বেরনোর সময় বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক আছে, তাই এসেছি৷ আমায় কোথাও যেতে কেউ বাধা দিতে পারে না৷ আমার সঙ্গে সবার যোগাযোগ থাকে৷ ’’
আরও পড়ুন: ছিঁড়ে দিয়েছিল জামা…সেই ২০১৭ থেকে শুরু, শেষ হল ২০২৫-এ! মনোজিৎ এখন কী দাবি করছে জানেন?
২০১৮ সালে লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজ প্রতাপের বিয়ে হয় বিহারের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা প্রসাদ রাইয়ের নাতনি ঐশ্বর্যা রাইয়ের৷ কিন্তু, মাস কয়েক গড়াতে না গড়াতেই দু’জনে ডিভোর্সের পথে পা বাড়ান৷ সেই মামলা এখনও চলছে৷