“উত্তরপ্রদেশের মানুষরাই বলছে, বিজেপিকে “খাদেড়া হোইবে” (Khadeda Hoibe) মানে তাড়ানো হবে। কিছু জায়গায় সত্যিই বিজেপির সমর্থকদের তাড়া করাও হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে এই স্লোগান একত্রিত করছে,” বলেন সমাজবাদী পার্টির আশুতোষ সিনহা।
আরও পড়ুন- 'পাকিস্তানের সমর্থক', ‘জিন্নার উপাসক’! অখিলেশকে আক্রমণ যোগীর
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee) গত বছর এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ে সমাজবাদী পার্টির হয়েই সওয়াল করেছেন মমতা। ‘খেলা হবে’ গানের গীতিকার ও গায়ক দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, দেবাংশু জানান, দুই জায়গার রাজনৈতিক অবস্থা ও লড়াই ভিন্ন ধরনের। “এক জায়গায় (বাংলায়), শাসক দলকে ফিরিয়ে আনার জন্যই গানটা ছিল, অন্য জায়গায় (উত্তরপ্রদেশ) এটি শাসক দলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হচ্ছে,” বলেন দেবাংশু।
advertisement
তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কাছে দলের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের কোনও পাল্টা স্লোগান নেই যা তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। “যদি কেউ ওদের থামানোর চেষ্টা করে, তবে বিজেপি এটাই সামনে আনবে যে ঈশ্বরের নাম নিয়ে অন্যদের সমস্যা আছে এবং এসব করে ভোটের মেরুকরণে বিজেপির লাভ হবে। ‘খেলা হবে’ গানটা তৈরি করার পরে, বিজেপি কর্মীরা যদি ‘জয় শ্রী রাম’ উচ্চারণ করত, তৃণমূল কর্মীরা বলত ‘খেলা হবে’ এবং জনসাধারণ খেলা হবেতেই বেশি ভরসা রেখেছে,” বলেন দেবাংশু। ‘খাদেড়া হোইবে’ জিঙ্গেলটি বিজেপির ‘ধর্মীয় মেরুকরণ কৌশলকে ঠেকাতে শক্তিশালী অস্ত্র হবে বলেই মনে করছেন তৃণমূল যুব ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি যুদ্ধের একটি নির্দিষ্ট স্লোগান থাকে যা কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা জাগায় এবং যদি জনগণ এটা পছন্দ করে তবে আখেরে দলেরই লাভ হবে।” সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির (Suheldev Bhartiya Samaj Party) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ রাজভার জানান, “গত বছরের ২৭ অক্টোবর একটি যৌথ সমাবেশে বাংলার ‘খেলা হবে’-এর আদলে এসপি এবং এসবিএসপি স্লোগান দিয়েছিল ‘খাদেড়া হোইবে (Khadeda Hoibe)। বাংলায় ‘খেলা’ ছিল, কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ‘খাদেড়া’ (তাড়ানো) হবে।” উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশপতি ত্রিপাঠী বলেছেন, “নির্বাচনে একটা নির্দিষ্ট থিম দরকার। যদি গানের মাধ্যমে সেটা পাওয়া যায় তবে খুবই ভালো।”
আরও পড়ুন- বাবার হারের বদলা নিতে উত্তরাখণ্ডে ভোটে লড়ছেন দুই মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী কন্যারা
তাঁর কথায়, “যদি বাংলায় বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়, তবে আমি মনে করি যে জনগণ এখানেও একই কাজ করতে পারে। এই বার্তাটি জনগণ এবং দলীয় কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গানটি ভীষণ কার্যকরী হবে।” এসপি'র সাড়ে তিন মিনিটের ‘খাদেড়া হোইবে’ জিঙ্গলটিতে মুদ্রাস্ফীতি, কোভিড মহামারীতে অব্যবস্থাপনা, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলিই তুলে ধরেছে।