লিজোর বোন ছিলেন পেশায় একজন নার্স। তিনি বিদেশে কাজ করতেন। অনেক চেষ্টার পর সে কিছুদিনের জন্য ছুটিতে নিজের ঘরে ফিরেছিল। কিন্তু লিজোর বোন স্বপ্নেও ভাবেননি যে তার ভাইই তার উপর ভয়ঙ্কর প্রাণহানি হামলা চালাবে।
advertisement
কি হয়েছিল সেই রাতে? মঙ্গলবার রাতে লিজো যখন প্রচণ্ড নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তার সঙ্গে ছিল এক নারীও। সে তার বোনের কাছে অনুরোধ করে, “এই মহিলাকে বাড়িতে থাকতে দাও! আজকের রাতটা কাটিয়েই চলে যাবে।” কিন্তু তার বোন এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দেয়। চরম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকা লিজোর মাথায় তখন রীতিমতো আগুন জ্বলে যায়। বোনের ধমক সে এই ‘না’ সহ্য করতে পারেনি৷
এরপরই কথা কাটাকাটি শুরু হয়৷ তারপরই তা রূপ নেয় তীব্র বাকবিতণ্ডায়। রাগে অন্ধ লিজো হঠাৎই ধারালো অস্ত্র নিয়ে বোনের মুখে চালিয়ে দেয়। কপাল থেকে কানে পর্যন্ত গভীর ছয় ইঞ্চি লম্বা ক্ষত তৈরি হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে৷
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মহাকুম্ভ থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না পরিবারের, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন ৬ শরীর…
প্রসঙ্গত, এই বোনই একসময় লিজোকে জেল থেকে মুক্ত করতে নিজের সমস্ত চেষ্টা করেছিলেন। লিজো নামের ছেলেটি এর আগেও ড্রাগ কেসে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিল৷ এমনকি পকসো (POCSO) আইনেও তার নাম ছিল। পুলিশের খাতায় সে আগে থেকেই বিশেষ অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ছিল। কিন্তু প্রতিবার বোন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ভাই কী করল? তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল এক ভয়াবহ আঘাত দিয়ে! শুধু মুখেই নয়, তার হৃদয়েও চিরকালীন দাগ রেখে দিল।
পুলিশ খুব দ্রুত লিজোকে গ্রেপ্তার করে। এসএইচও এম. জে. অরুণের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযুক্তকে ধরতে সক্ষম হয়। এই টিমে ছিলেন এসআই গিরিশ কুমার, শিবু, সিভিল পুলিশ অফিসার এস. অরুণ, স্মিতেশ ও শফিক।