একের পর এক বিমানের সংখ্যা কমেছে। ২১ এপ্রিল, হামলার আগের দিন, কাশ্মীরে ৫২টি ফ্লাইটে ৯,৬৪০ জন যাত্রী আগমন করেন এবং ১০,০০১ জন যাত্রী বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। অর্থাৎ, মোট ১০৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছিল। আর হামলার ৯ দিন পরে, সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৮২টি ফ্লাইটে।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, জিপ ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শেষ শিশুকন্যা-সহ ৬টি তাজা প্রাণ! গুরুতর আহত ৮
advertisement
ডিজিসিএ (DGCA) বিমান সংস্থাগুলিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, “পহেলগাঁও-এর ঘটনার পরপরই প্রচুর পর্যটক নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিমান সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন দ্রুত ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ায় এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রীনগর থেকে সংযোগ বজায় রাখে।”
এই নির্দেশ মেনে এয়ারলাইন্সগুলি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু করে। কিন্তু এই ফ্লাইটগুলিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। ২৫ এপ্রিল চারটি অতিরিক্ত ফ্লাইটে মাত্র ২৪ জন যাত্রী আসেন, ৭৯৪ জন ফিরে যান। ২৬ এপ্রিল তিনটি ফ্লাইটে ২৮ জন আগমন করেন, ৩৫১ জন ফিরে যান। ২৭ এপ্রিল, দুটি ফ্লাইটে ৬২ জন আগমন করেন এবং ২১১ জন ফিরে যান।
পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ তুলে ভারত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান ভারতীয় এয়ারলাইন্সের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। পরে ভারতও পাকিস্তানি বিমানের জন্য তার আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কাশ্মীর অঞ্চলে আকাশপথে যাতায়াত আরও কমে যায়।