বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ভারত ভূষণের মৃত্যুর পরে সেনাকর্মীদের সামনে যখন তাঁর স্ত্রী সুজাতা সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা বর্ণনা করছিলেন, প্রাণপণে চাপছিলেন কান্না, যাতে ছেলে কিছু বুঝতে না পারে, সেই বয়ান শুনলে যে কারও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে৷
advertisement
সুজাতা বলছিলেন হঠাৎ করেই তাঁদের দিয়ে এগিয়ে আসেন এক বন্দুকধারী৷ ছেলে তখন তার বাবার কাছে৷ ওই জঙ্গি তখন ভরতকে বলেন ছেলেকে সুজাতার কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য৷ তারপর প্রশ্ন করেন, নাম কী? তাঁর স্বামী উত্তর দেন, ‘ভরত’৷ তারপরে জঙ্গি প্রশ্ন করে তাঁর ধর্ম কী? উত্তরে খুব সহজভাবে ভরত জানান, ‘হিন্দু’৷ সেই কথা শোনা মাত্রই তাঁর ছেলে-বউয়ের সামনে ভরতের মাথায় গুলি করে দেয় ওই জঙ্গি৷
সুজাতার মা মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, তিনি মেয়ের কাছে শুনেছেন, জঙ্গিরা প্রত্যেককে ধরে ধরে তাঁদের নাম, ধর্মের কথা জিজ্ঞেস করছিল৷ তারা কোনও মহিলাকে মারেনি৷ কিন্তু, পুরুষরা যতক্ষণ পর্যন্ত না লুটিয়ে পড়ছে, ততক্ষণ গুলি চালিয়ে গিয়েছিল৷
ভরতের পরিবার অবশ্য প্রথমেই তাঁর মৃত্যুর ঘটনা তাঁর বাবা-মাকে জানায়নি৷ ভরতের বড় ছেলে বলেছিল, বাবা গুরুতর আহত , সে মামার সঙ্গে ওদের কাশ্মীর থেকে আনতে যাচ্ছে৷ কিন্তু, পরেরদিন সকালে খবরের কাগজ হাতে নিতেই পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যায় ভরতের বাবার৷
ভরতের বাবা জানান, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই কাশ্মীর থেকে তাঁদের ফোন করেছিলেন ছেলে৷ বলছিলেন পহেলগাঁও যাবেন৷ সেই যাওয়ার পরে আর যে কখনও ফিরবেন না, সেটা ভাবতে পারেননি৷
