পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা আসিফের দাবি, পহেলগাঁওয়ের এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই৷ শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদকে কখনও প্রশ্রয় দেয় না পাকিস্তান৷ এখানেই শেষ করেননি তিনি৷
বিবৃতিতে আসিফ লিখেছেন, ‘‘ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, কাশ্মীর এবং ছত্তিশগড়েও৷ এই সমস্ত ভিতরের লোকেরাই এই কাজ করেছে৷’’
advertisement
তিনি লেখেন, ‘‘আমরা কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করি না৷ স্থানীয় লোকেদের কখনওই জঙ্গি হিসাবে টার্গেট করা উচিত নয়৷ আমাদের এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷ যদিও স্থানীয় কোনও সংগঠন যদি ভারত সরকারকে টার্গেট করে, তাহলে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা সহজ হয়ে যায়৷’’
সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রায় ৮-১০ জন সন্ত্রাসবাদী জড়িত থাকতে পারে। তাদের মধ্যে ৫-৭ জন হতে পারে পাকিস্তানের। স্থানীয় যে ক’জন ছিল, তারাও নিয়ন্ত্রণরেখআ পেরিয়ে ওপার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ মূলত স্থানীয় ওই যুবকদের সাহায্যেই হত্যালীলা চালানোর পরে জঙ্গিরা পাহাড়ের জঙ্গলে পালিয়ে যেতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করেছে৷ এঁদের বেশিরভাগই অন্যান্য রাজ্য থেকে কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর এটি উপত্যকায় সবচেয়ে বড় হামলা। তা-ও অমরনাথ যাত্রা শুরুর কিছু দিন আগেই৷ পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) মঙ্গলবার রাতে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে দুজন বিদেশি – সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নেপালের৷ বাকি দুজন স্থানীয়।
