পাখিটিকে সমাধিস্থ করার পর তাঁর স্মরণে তৈরি করা হয়েছে একটি স্মৃতিসৌধ৷ অশৌচের এগারো দিন পর সব নিময় পালন করে গ্রামবাসীরা একত্রিত হন এক জায়গায়৷ শ্রদ্ধা সম্মানের সঙ্গে শেষ বিদায় জানানোর পর আয়োজন করা হয় খাওয়া দাওয়ার-ও৷ সেখানে ছিল আমিষ খাবার৷ চড়াইয়ের জন্য প্রার্থনাতেও সামিল হন গ্রামের মানুষ৷
আরও পড়ুন : রতন টাটার সাক্ষাৎকারের সময় তাঁর বন্ধু চতুষ্পদ গোয়া আগাগোড়া শান্ত হয়েই বসে রইল
advertisement
আরও পড়ুন : পুলিশের দ্বারস্থ, ফেসবুকে ৫০০০ টাকার ইনাম ঘোষণা, অবশেষে ‘অপহৃত’ পোষ্য ফিরল ঘরে
আরও পড়ুন : লোকের বাড়িতে ঢুকে পড়া বিষধর কোবরাকে অনায়াসে বন্দি করলেন প্রমীলা বনকর্মী, দেখুন রোমহর্ষক ভিডিও
একটি মণ্ডপ তৈরি করা হয়৷ সেখানে চড়াইয়ের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছিল একটি রঙিন ব্যানার৷ অতিমারির ধূসর দিনগুলিতে ওই পাখিই ছিল তাদের আনন্দের উৎস-এ কথা বার বার মনে ঘুরে ফিরে আসে গ্রামের বাসিন্দাদের স্মৃতিচারণায়৷ ওই গ্রামের বাসিন্দা সবিতা রায়ান্নার কথায়, ‘‘ রোজ সকালে আমার বাড়ির বারান্দায় এসে বসত পাখিটি৷ ওকে দেখে আমি বুঝতে পারতাম সকাল আটটা বেজেছে৷ একমুঠো শস্য রেখে দিতাম ওর জন্য৷ ও খুঁটে খুঁটে প্রত্যেকটা দানাশস্য খেত, তার পর উড়ে যেত নিজের ঠিকানায়৷ এমনকি, বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা এলে তাঁরাও ওই ছোট্ট প্রাণীটাকে ভালবাসতেন৷ আমার বাচ্চারা ওর অপেক্ষায় বসে থাকত৷ ও জন্য আমাদের সকালগুলো মধুর হয়ে উঠত৷ ওকে আমরা মিস করব আগামী দিনগুলিতে৷’’