বন্যা বিধ্বস্ত কর্ণাটকে (Karnataka) ক্ষয়ক্ষতি বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আলোচনা চলছিল৷ নিজেদের বিধানসভা এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলতে চাইছিলেন সব বিধায়কই৷ ফলে সমস্যায় পড়েন স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাজেরি৷ কারণ সন্ধে ছ'টার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অধিবেশনের কাজ শেষ করতে চাইছিলেন তিনি৷ অথচ বিধায়করা চাইছিলেন অধিবেশনের কাজ দীর্ঘায়িত হোক৷ কারণ প্রত্যেকেই নিজেদের বিধানসভা এলাকার মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরতে৷
advertisement
আরও পড়ুন: "রাতের কথা মনে করতে চাই না", কলকাতার শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা ভুলতে পারছেন না আসানসোলের নিগৃহীতা!
পরিস্থিতি দেখে হাসতে হাসতেই অধ্যক্ষ বলেন, 'আমি এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি যে মনে হচ্ছে সবাইকে বলি আপনারা চালিয়ে যান৷ গোটা বিষয়টা উপভোগ করি৷ মনে হচ্ছে কোনও কিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে আপনাদের বলি যে নিজেদের বক্তব্য চালিয়ে যান৷ কোনও নিয়ম, বিধি মানার প্রয়োজন নেই৷'
স্পিকার ক্ষোভের সঙ্গে এর পরে জানান, অধিবেশনের কাজ ঠিক মতো চলছে না৷ সেটাই তাঁর রাগের কারণ৷ তখনই অধ্যক্ষকে থামিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার বলেন, 'দেখুন কথাতেই আছে, যখন ধর্ষণটা অবধারিত তখন শুয়ে পড়ে সেটা উপভোগ করাই ভাল৷ আপনার অবস্থাও সেরকমই৷'
আরও পড়ুন: বিছানায় ৬ মাসের সন্তান, সেই ঘরেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মায়ের! পাণ্ডবেশ্বরে রহস্যমৃত্যু
বিধায়কের এই বক্তব্যে শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন অনেক বিধায়কই৷ যদিও এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ একজন বিধায়ক কীভাবে এমন মন্তব্য করলেন, তাও আবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, সেই প্রশ্ন উঠছে৷
কর্ণাটকে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার যথেষ্ট বেশি৷ কর্ণাটক পুলিশের তথ্যই বলছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে রাজ্যে ১১৬৮টি ধর্ষণের অভিযোগ জায়ের হয়েছে৷ এর মধ্যে বাইশটি গণধর্ষণের ঘটনা৷ তথ্যই বলছে, প্রত্যেকদিন গড়ে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কর্ণাটকে৷