আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের ভোট পেতে গ্রামে 'মহিলা চৌপাল' আর কীর্তনের আয়োজন বিজেপির
স্বামীর মৃত্যুর পর একেবারেই একা হয়ে গিয়েছিলেন হুচ্চাম্মা। নিজেদের জমিতে কাজ করে নিজের জীবন চলে যেত ঠিকই কিন্তু জীবনকে যাপন করা হত না। কিছুকাল আগে হুচ্চাম্মা জানতে পারেন কর্নাটক সরকার জমি খুঁজছে গ্রামের বাচ্চাদের জন্য স্কুল তৈরি করবে বলে। গ্রামের বাচ্চাদের পড়াশোনা যাতে নিশ্চিত হয় তাই নিজের ২ একরের অর্ধেক জমি সরকারকে দান করে দেন এই বৃদ্ধা (Old lady donates land for school)। ফের কিছুকাল পরে তিনি দেখেন সরকার স্কুলের কাছাকাছি আরেকটি জায়গা খুঁজছে যেখানে বাচ্চাদের খেলার মাঠ তৈরি করা যাবে। নিজের জীবনের শেষ সম্পদ, বাকি এক একর জমিটিও দান করে দেন হুচ্চাম্মা (Karnataka Ajji)।
advertisement
বর্তমানে ওই স্কুলেই চাকরি করছেন হুচ্চাম্মা, বাচ্চাদের জন্য মিড-ডে-মিলের রান্না করেন। স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখন অন্যের জমিতে মজুরি করেন। “আমি নিজে কোনও সন্তানের জন্ম দিইনি। কিন্তু এই সব বাচ্চারা আমাকে আজ্জি (ঠাকুমা) বলে ডাকে (Karnataka Ajji)। ৩০০ জন বাচ্চা এখানে রোজ খায়, ওদের খাওয়াতে পেরে ভালো লাগে। একজন দু’জন বাচ্চার জন্ম দিয়ে কী হবে যখন ৩০০ জনকেই নিজের বাচ্চা বলে ডাকতে পারা যায়!” বলেন হুচ্চাম্মা।
আরও পড়ুন- "৩২ টার মধ্যে ২৮ টাই ভুলে গেছো", জন্মদিনে প্রয়াত ইরফানকে মন কেমনের চিঠি সুতপার
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যতটা পরিমাণে জমি হুচ্চাম্মা দান করেছেন (Karnataka Ajji donates land worth 1 crore) বর্তমানে তার বাজার দর কমপক্ষে এক কোটি টাকা। এত টাকার কথা কি আদৌ জানতেন হুচ্চাম্মা? জিজ্ঞেস করা হলে উজ্জ্বল এই বৃদ্ধা বলেন, “পেট চালানোর আমার খাবার দরকার, যেটা আমি পেয়েই যাই। টাকা নিয়ে কী করব? বাচ্চাগুলো তো আমাকে আজীবন মনে রাখবে। রাখবে না? এটাই অনেক।”
