বৃহস্পতিবার লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভায় তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকার নিজেই একটি তথ্য ভান্ডার। তাই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে তথ্য ফাঁস না হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গেও জুড়বে আধার কার্ড? নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে সায় কেন্দ্রের
advertisement
সংসদীয় কমিটি রিপোর্টে এও জানিয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনওভাবে তথ্য ফাঁস হয়, তার দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা দপ্তরের উপরে। প্রস্তাবিত আইনের এই বিধি বদলের সুপারিশ করেছে কমিটি। বলা হয়েছে, "এই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে।" সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দৈনিক কাজেও এই বিধান বিঘ্ন তৈরি করবে।
পি পি চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তথ্য সুরক্ষা বিলের কমিটির সুপারিশ, তথ্য সুরক্ষিত রাখার আইন লঙ্ঘন হলে অর্থাৎ কোনওভাবে যদি তথ্য ফাঁস হয় তাহলে প্রথমে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে এবং তার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে দায় বর্তাতে হবে। কমিটির তরফে সংবাদমাধ্যম নিয়েও একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাংবাদিকতার নামে অধিকারের অপব্যবহার করা চলবে না।
আরও পড়ুন: পেগাসাস নিয়ে 'সমান্তরাল' তদন্ত চলছে? শীর্ষ আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য...
সমস্ত রকম সংবাদমাধ্যমে যাতে কোনওভাবেই এই ধরনের অপব্যবহার না নয়, তার জন্য একটি কমিটি বা কাউন্সিল গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি। কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশ, বিবেক তানখা,থেকে শুরু করে তৃণমূলের তরফে কমিটিতে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। তথ্য সুরক্ষা বিলের কয়েকটি বিষয়ে গতমাসে আপত্তি তুলে 'ডিসেন্ট নোট' দেয় কংগ্রেস।সরকারি তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে, তথ্য সুরক্ষা বিলে উল্লেখিত বিধানের আওতার বাইরে রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সরকারকে ।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, "এই রিপোর্ট প্রমাণ করে, চেয়ারম্যান সহযোগী, সরকার মানানসই এবং বিরোধী শিবির প্রতিক্রিয়াশীল।" রাজনৈতিক মহল মনে করছে সরকার যদি যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশগুলি মেনে নিয়ে তথ্য সুরক্ষা বিল পাস করানোর পথে হাঁটে সে ক্ষেত্রে অচিরেই দেশে তথ্য সুরক্ষা আইন লাগু হতে পারে। যা হবে আধুনিক যুগের একটি যুগান্তকারী আইন।
