উপত্যকা অঞ্চলও জল সংকটের শিকার । প্রশাসন বেশির ভাগ অংশেই কৃষকদের নির্দেশ দিয়েছে ধান চাষ না করতে । জল সংকট হওয়াতেই প্রশাসন জানায় এই মুহূর্তে এমন চাষবাস না করলেই ভাল হয় যে চাষে বেশি পরিমাণে জলের দরকার হয় ।
গত মাসেই সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর এক নির্দেশিকায় কাশ্মীরের উত্তরের কৃষকদের বলা হয়েছে এই বছরে এমন কোনও ফসলের চাষ করতে যার জন্য একটু বেশি পরিমাণে জল লাগে । পরিবর্তে ডাল, বা নগদ শস্যের চাষ করতে যাতে কম পরিমাণে জল লাগে ।
advertisement
কাশ্মীরের কৃষি বিভাগ অভিকর্তা জানান শীতকালে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলের স্তর অনেক নিচুতে । তবে এখন মরসুমের শুরু তাই কোনও কিছু দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই, এবার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে । বৃষ্টিপাতের ঘাটতিও মিটে যাবে ।
বেশ কিছু কৃষক ভয় করছেন খরা হলে কী করবেন । বেশির ভাগ চাষি বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করেই কৃষিকাজ করেন, সেই ভাবেই সারা বছরের পরিকল্পনা করেন । পরে ফসল জলসেচ করতে, তারা জল প্রবাহ থেকে জল ব্যবহার করবে ।
কাশ্মীরের উপত্যকার কৃষকরা বিশ্বাস করে শুধুমাত্র ধানই ফলাতে পারে বা পরিবেশ ধান চাষের অনুকূল । ধান ছাড়া অন্য কোনও নগদ শস্য ধানের বিকল্প হতে পারে না ।