সূত্রের খবর, গত শুক্রবার যে আদিলের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সে পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতে ঢুকেছিল৷ বর্তমানে এই আদিলের বয়স কুড়ির কোঠায়৷ প্রথম তার কথা সামনে আসে ২০১৮ সালে৷ সেই সময় দক্ষিণ কাশ্মীরের এক জঙ্গির শেষকৃত্যে তাকে দেখা গিয়েছিল৷ স্ই সময় সে সবে তার কিশোরকাল পেরিয়েছে৷ তারপরেই সে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে যায়৷ তার সেখানে হয়ে যায় নিখোঁজ৷ পরে জানান যায়, পাকিস্তানে সে জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-এ-তৈবায় যোগ দিয়েছে৷
advertisement
তারপর ২০২৪ এর মাঝামাঝি নাগাদ আদিলকে ফের দেখা যায় রাজৌরি পুঞ্চ এলাকায়৷ আর গোয়েন্দারা মনে করছে, চলতি বছরের শুরুতেই পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে এদেশে ঢুকেছিল সে৷ বর্তমানে আদিল সহ পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো প্রতিটা জঙ্গিই পলাতক৷
Pahalgam Terror Attack: Houses of Asif Ahmad Sheikh, Adil Ahmad Thoker, Ehsan Ul Haq, Shabir Ahmad Kuttay and Zakir Ganie demolished in Kashmir. (X/@RShivshankar)
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল কুলগামের ঠোকেরপোরায় জঙ্গিদের দুই সহযোগী লুকিয়ে রয়েছে৷ এই ঠোকেরপোরাতেই বাড়ি ছিল পহেলগাঁও হামলার মূল জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকরের৷ খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই ঠোকেরপোরায় অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী৷ শনিবার সকালে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে৷
এছাড়া, শনিবারও নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে একাধিক জায়গায় বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে দেখা গিয়েছে পাক সেনাকে৷ তার অবশ্য যোগ্য জবাবও দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে৷
যে তিন জঙ্গির বাড়ি শনিবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তারা হল-
সাবির আহমেদ কুট্টে: সোপিয়ানের ছোটিপোরা গ্রামে লস্কর কম্যান্ডার সাবির আহমেদ কুট্টের বাড়িটি ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কুট্টে গত তিন থেকে চার বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাকির আহমেদ গণি: শুক্রবার রাতে কুলগাম জেলার মুতালহামা গ্রামে জাকির আহমেদ গণির একটি বাড়ি ভেঙে ফেলার খবর দিয়েছেন কর্মকর্তারা। গণি পহেলগাঁও হামলার সাথেও জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, গণি ২০২৩ সাল থেকে সক্রিয়।
এহসান উল হক: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার সন্দেহভাজন এহসান উল হক শেখের দোতলা বাড়ি শুক্রবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের মুরান পুলওয়ামা এলাকায় এক বিস্ফোরণে ভেঙে ফেলা হয়। এহসান, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে৷ সম্প্রতি কাশ্মীরে ফিরে এসেছিল।
আরও পড়ুন :‘নোংরা’ কাজ করে আসছে পাকিস্তান..তিন দশক ধরে! অবশেষে স্বীকার পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
এখানেই শেষ নয়, তাদের দাবি, এই দলটিকে দিল্লি থেকেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ এদের সঙ্গে কয়েকজন বিদেশিকে পাঠানো হয়েছিল৷ এটা কোনও সাধারণ পর্যটকদের দল ছিল না, বরং গবেষণার দায়িত্ব দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই এদের পাঠানো হয়েছিল৷