সোনা কোথায় পাওয়া গেছে?
এই জেলাগুলিতে সোনার মজুত নিশ্চিত করা হয়েছে-
দেওগড়
সুন্দরগড়
নবরঙ্গপুর
কেওনঝড়
আঙুল
কোরাপুট
এছাড়াও, ময়ূরভঞ্জ, মালকানগিরি, সম্বলপুর জেলাতেও সোনার সন্ধান চলছে।
কত সোনা পাওয়া গেছে?
সরকারি পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান অনুসারে,মজুদের পরিমাণ ১০ থেকে ২০ মেট্রিক টনের মধ্যে হতে পারে। যদিও ভারতের বৃহৎ সোনা আমদানির তুলনায় এটি খুব কম,তবুও এটি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
advertisement
সরকারের প্রস্তুতি
ওড়িশা সরকার, ওড়িশা মাইনিং কর্পোরেশন (OMC) এবং GSI এই আবিষ্কারকে দ্রুত বাণিজ্যিকীকরণের জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। প্রথমত,দেওগড় জেলার প্রথম সোনার খনির ব্লকটি নিলামের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মজুদের গুণমান এবং উত্তোলনের সম্ভাবনা নির্ধারণের জন্য G3 থেকে G2 স্তর পর্যন্ত বিস্তারিত খনন এবং নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : মেরঠের পর আলওয়ার! ফের নীল ড্রামে উদ্ধার ব্যক্তির পচা গলা দেহ! নিখোঁজ স্ত্রী, ৩ সন্তান!
অর্থনৈতিক প্রভাব
যদি এই সম্পদটি বাস্তবে উত্তোলন করা হয়, তাহলে এই অঞ্চলে পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান এবং পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে। সোনার উপর ভারতের আমদানি নির্ভরতা কিছুটা কমে যাবে। ওড়িশাকে কেবল লৌহ আকরিক এবং বক্সাইটের কেন্দ্র হিসেবেই নয়, সোনারও কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে। ওড়িশায় ইতিমধ্যেই ভারতের ৯৬% ক্রোমাইট, ৫২% বক্সাইট এবং ৩৩% লৌহ আকরিক রয়েছে। এখন সোনার আবিষ্কার এই তালিকায় একটি নতুন মাইলফলক যোগ করবে।
এরপর কী হবে?
ফলাফল এবং পরীক্ষাগার বিশ্লেষণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন করা হবে। পাশাপাশি কারিগরি কমিটি কর্তৃক বাণিজ্যিক সম্ভাবনার মূল্যায়নের পর স্বচ্ছ নিলাম এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ তৈরি হবে। পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাবের অধ্যয়ন করা হবে। সামগ্রিকভাবে,ওড়িশার এই সোনা ভারতের খনির কৌশলে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে পারে এবং স্থানীয় জনগণের জন্য অর্থনৈতিক আশীর্বাদ হিসেবেও প্রমাণিত হতে পারে।