পুরো বিষয়টি দুই স্ত্রী এবং তাঁদের স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রথম স্ত্রী, তাঁর স্বামী এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যখন পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছন, তখন স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছে যান। দু’জনেই একে অপরকে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই অশান্তি শুরু হয়ে যায়। আধ ঘণ্টা ধরে হাইভোল্টেজ নাটক চলতে থাকে। তবে, সবাইকে তাৎক্ষণিকভাবে সিভিল লাইনস থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারা একে অপরের সঙ্গে চুলোচুলিতে জড়িয়ে পড়ে, চটি দিয়ে মারধর করে।
advertisement
রাঞ্জি এলাকার বাসিন্দা প্রীতি ভানস্কর জানান, ৬ বছর আগে রাঞ্জির বাসিন্দা অভিষেক সোনকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দু’জনেরই দুই সন্তান হয়, তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েদছে ইতিমধ্যেই। অভিষেকের আমার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি, কিন্তু অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করে। আমাকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। যার কারণে, সন্তানদের লালন-পালনে সমস্যা হচ্ছে। তিনি এই বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছন। তারপর হঠাৎ স্বামী অভিষেক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছন এবং আমার স্বামীও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদহ থেকে কখন ছাড়বে কৃষ্ণনগর এসি লোকাল? ফিরতি ট্রেন কৃষ্ণনগর ছাড়বে কখন? জানুন ভাড়া, সময়সূচি
বিবাদ আরও বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, গণ শুনানিতে উপস্থিত উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং উভয় পক্ষকে সিভিল লাইনস থানায় নিয়ে যান। উভয় পক্ষকে থানায় কাউন্সেলিংও করা হয়। সিএসপি ভগত সিং গাথোরিয়া বলেন, দুটি পক্ষ অভিযোগ জানাতে গণশুনানিতে এসেছিল, যেখানে অভিষেকের প্রথম স্ত্রী প্রীতি অভিযোগ দায়ের করার পরেই অভিষেক তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পৌঁছেছিলেন, যার কারণে বিরোধ দেখা দেয়। তবে, উভয় পক্ষের কাউন্সেলিং করা হয় এবং বিষয়টির সমাধান করা হয়।