ইউপি পুলিশের প্রাক্তন আইজি ডি কে পান্ডা অর্থাৎ দেবেন্দ্র কিশোর পান্ডা মূলত ওড়িশার বাসিন্দা। ১৯৭১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। তিনি নিজেকে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমিকা ঘোষণা করেন। রাধা সেজে হাজির হতেন অফিসে। এই নিয়ে সে সময় ব্যাপক শোরগোল হয়। ইউপি পুলিশের অনেক অফিসারও ক্ষুব্ধ হন। কিন্তু যে যাই বলুক, ডি কে পান্ডা বদলাননি নিজেকে।
advertisement
স্বপ্নে এলেন শ্রীকৃষ্ণ: ১৯৯১ সাল। আইপিএস ডি কে পান্ডার বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন ভগবান কৃষ্ণ। বলেন, তিনি পান্ডা নন, তিনি রাধা, তাঁর প্রিয়তমা। তারপর থেকেই রাধা ভাবে বিভোর থাকতেন পান্ডা। রাধার মতো বেশভূষা পরতেন। তবে লুকিয়ে। কিন্তু ২০০৫ সালে সব জানাজানি হয়ে যায়।
আইজি ডি কে পান্ডা ১৬ শৃঙ্গারে সাজতেন: ইউপি পুলিশের প্রাক্তন আইজি পদে থাকাকালীন ডিকে পান্ডা সদ্য বিবাহিতা মহিলার মতো ১৬ শৃঙ্গারে সাজতেন। পরতেন সিঁদুর, কপালে টিপ, হাতে মেহেন্দি ও চুড়ি, কানে দুল, নাকে নাকচাবি, ঠোঁটে লিপস্টিক আর পরনে হলুদ সালোয়ার।
ভিআরএস নিতে হয়েছিল: এসব গোপনে চলছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে কৃষ্ণ প্রেম বাড়ে। আইজি ডিকে পান্ডাও পুলিশের উর্দি গায়ে চড়িয়ে টিপ, লিপস্টিক, দুল, নাকচাবি পরে হাজির হতে শুরু করেন থানায়। এসব দেখে লোকজন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত। এমনকী, তাঁর সহকর্মীরাই মজা করে বলতে শুরু করেন, ‘ওই দেখো, রাধা আসছে’। খবর যায় পুলিশের উপর মহলেও। তাঁরা তো রেগে আগুন। সরকারও বেজায় ক্ষুব্ধ হয়। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, অফিসে এসব চলবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ২০০৭ সালে তাঁর চাকরিজীবন শেষ হত। কিন্তু ২০০৫ সালেই ভিআরএস নিতে বাধ্য হন ডি কে পান্ডা।