আবার জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই সংখ্যার নক্ষত্র মঘা। আর মঘা নক্ষত্রের অধিপতি হল কেতু। যা রাহুর বিপরীত এবং ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি। আবার ইংরাজি অক্ষর ‘M’-এর প্রতিনিধিত্ব করে সিংহ রাশি। আর এই রাশির অধিপতি হলেন সূর্য। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ‘M’ অক্ষরের মধ্যে থাকে রাহু, কেতু এবং সূর্যের সংমিশ্রণ। কারওর রাশিতে এই গ্রহগুলি থাকলে তা ওই মানুষের জীবনে কী কী ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক থাকে, তা চিহ্নিত করে। ‘M’ অক্ষরটিকে সংজ্ঞায়িত করে মঘা নক্ষত্র। যার অর্থ হল মহত্ব। Representative Image
ফলে যাঁদের নামের আদ্যক্ষরে ‘M’ থাকে, তাঁদের উপর মঘা নক্ষত্রের প্রভাব বর্তমান থাকে। যে ক্ষেত্র নির্বাচন করেন, সেই ক্ষেত্রেই সেরা স্থান লাভ করেন এঁরা। আবার তাঁদের বর্তমান জীবনের ক্ষমতা নির্ভর করে অতীতের কর্মফলের উপরে। প্রচুর পরিমাণে পার্থিব আনন্দও থাকে জীবনে। আবার নামের আদ্যক্ষরে ‘M’ থাকলে বস্তুবাদী ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমেই জীবনে আনন্দ ও সুখ আসে। পূর্বপুরুষের আশীর্বাদধন্য হন এঁরা। আবার এঁদের মধ্যে এমন শক্তি থাকে, যা তাঁদের কঠিন পরিস্থিতিতে লড়তে সাহায্য করে। সবথেকে ইতিবাচক দিক হল, এঁদের জীবনে থাকে রাহু আর কেতুর প্রভাব। এই কারণে প্রতিদিন সকালের প্রার্থনার সময়ে পূর্বসূরীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা বাঞ্ছনীয়।
নামের আদ্যক্ষরে ‘M’ থাকা মানুষগুলি কঠোর পরিশ্রমী হন। কারণ নিরাপত্তা ও পদমর্যাদাকে গুরুত্ব দেন এঁরা। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকেন, ফলে জীবনে সাফল্যও আসে। উচ্চাকাঙ্ক্ষার জোরে নিজেদের জায়গা নিজেরাই গড়ে নেন এঁরা। তবে দ্রুত অর্থ উপার্জনের লোভে পতনের সম্মুখীন হন। আসলে শৃঙ্খলাবোধই হল এই মানুষগুলির সবথেকে বড় শক্তি।
আবার প্রেমের দিক থেকে ততটাও অভিব্যক্তিপূর্ণ নন এঁরা। সাধারণত মনের কথা বলতেই অনেকটা সময় নিয়ে ফেলেন। তবে আবার মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে গেলে কিন্তু এঁদের মতো রোম্যান্টিক আর কেউই বোধহয় হতে পারেন না। (প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)