বৈষ্ণব পদাবলীর কবি তুলসী-তিল সহযোগে নিজেকে সমর্পণ করতে চেয়েছিলেন মাধবের শ্রীচরণে। তিনি জানতেন, তুলসী সঙ্গে নিজেকেও সমর্পণ করলে ভগবান তাঁকে ফেলতে পারবেন না। পবিত্র এই বৃক্ষপত্রের প্রতি যুগ যুগান্ত ধরে ভারতবাসীর বিশ্বাস এমনই অটুট। বলাই হয় যে এই তুলসী শ্রীবিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। ফলে, যখনই সংসারের কোনও কাজে তাঁর অর্চনা হয়, অবশ্য ব্যবহৃত উপাদান হিসেবে নিবেদন করা হয় তুলসীপাতার অর্ঘ্য।
শুধু লোকপালক মধুসূদনের পূজার্চনা-ই তো আর নয়। তুলসী নিজেও এত শুদ্ধ যে তার উপস্থিতি মাত্রেই চারপাশের বাতাস পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে। সেই জন্য গৃহস্থ বাড়িতে তাকে রাখে, নিয়ম করে সকাল-সন্ধ্যায় জলসেচন তথা আরাধনা করে থাকে। আয়ুর্বেদেও রয়েছে তুলসীর বীজ, পাতা, শিকড়ের অত্যাশ্চর্য ব্যবহার, যা আমাদের রোগ থেকে আরোগ্যের পথে নিয়ে যায়।
বাড়ির উত্তর দিকে একটি পাত্রে গঙ্গাজলের মধ্যে তুলসীমঞ্জরী রাখলে গৃহ পবিত্র হয়। সেই তুলসীমঞ্জরী স্পর্শ করা গঙ্গাজল বাড়িতে ছিটিয়ে দিলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়, গৃহ ধনে-ধান্যে পরিপূর্ণ হয়।- বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার মা লক্ষ্মীকে তুলসীমঞ্জরী নিবেদন করলে গৃহস্থতে কখনও অর্থাভাবে কষ্ট পেতে হয় না। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন