পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যোগাকে বিশ্ব ব্যাপী পরিচিতি দেওয়া এবং প্রতি বছর ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস পালন করা সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের জন্য। তিনি ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে জাতিসংঘের কাছে আহ্বান রেখেছিলেন ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস পালন করার জন্য। তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের স্বীকৃতি দেয়।’
advertisement
আরও পড়ুন: নেই দিন-রাতের খোঁজ, বছরে ৩০০ দিন ঘুমিয়ে এই যুবক! কারণ জানলে চমকে যাবেন
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যোগা শুধু এক ধরনের শারীরিক অনুশীলনই নয়, তা হচ্ছে প্রাচীন দর্শন। যদি আমরা নিজেকে প্রশ্ন করি আমি কে? বই পড়ে এর যথার্থ উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়। এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় যোগার মাধ্যমে আমাদের মন, শরীর-সহ সমস্ত কিছুর পূর্ণাঙ্গ বিকাশ হয় যোগার মাধ্যমে। রাজ্যের অনেক যুবক যুবতী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যোগা করছেন এবং জাতীয় এমনকী আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছেন, সেই সঙ্গে পুরস্কার জয় করে আনছেন।’ বহিঃরাজ্যে পড়াশোনা করার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের প্রতিযোগিতাগুলিতেও সাফল্যের সঙ্গে যোগাতে তিনি অংশ নিতেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বর্ষায় সাপের ভয়! সাপে কামড়ালে কী করবেন? কোনটা না, জানুন
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাঁরা যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করেন। ‘বিশেষ করে তাঁর নিত্যদিনের কাজকর্মগুলিকে নজরে রাখলে অনেক কিছুই জানা সম্ভব। বিশেষ করে “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে তিনি সকলের সামনে নতুন নতুন বিষয় তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী এবছর মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রে যোগা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তিনি সবসময় আমাদের নতুন মার্গদর্শন দিয়ে যাচ্ছেন, এর মধ্য দিয়ে ভারত-সহ সারা বিশ্ব সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যখন আন্তর্জাতিক যোগা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন শুরুতেই কিছু দেশ এর বিরোধিতা করছিল। কিন্তু পর মুহুর্তেই তারা বুঝতে পারে যোগা কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়, এটি হচ্ছে নিজের কল্যাণের জন্য। তাই তাঁরা ততক্ষণাৎ আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং এখন তারাও আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।’
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন আহ্বান করেন, সারা দেশের মধ্যে যাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচিতি গড়ে। এই কাজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকা অন্যান্য কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান রাখেন, তারা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়কে সারা দেশে সুপরিচিত করে তুলতে পারে। তাদের এই কাজ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চেষ্টায় অনেক নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। এভাবে আগামী দিনের জন্য তারা গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন সামগ্রী তৈরি করে যান এই প্রত্যাশা রাখেন।
রাজ্যে বর্তমানে যে সব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার পাশাপাশি বহু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহী। ইতিমধ্যে আইন বিশ্ববিদ্যালয়, ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যে চালু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য শিক্ষার হার হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে রাজ্যে একটি ডেন্টাল কলেজ চালু করা সম্ভব হয়েছে, এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ডেন্টাল কলেজের পাঠ্যক্রম শুরু হবে।সবশেষে তিনি আবারো প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এই যোগা কর্মশালা সফল হবে এবং এতে অংশগ্রহণকারী সকলে উপকৃত হবেন।ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম বি বি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অধ্যাপক অধ্যাপিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
আবীর ঘোষাল