এই ধরনের একটি প্রকল্প হল উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ভৈরবী-সাইরাং নতুন রেললাইন প্রকল্প, যা খুব দ্রুত সম্পূর্ণ হবে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিশেষত মিজোরামে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। ভৈরবী-সাইরাং প্রকল্পটির লক্ষ্য হল উত্তর পূর্ব ভারতে অতিরিক্ত ৫১.৩৮ কিমি রেলওয়ে ট্র্যাক সৃষ্টি করা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে প্রকল্পটির সবচেয়ে উঁচু পিয়ার তথা সাইরাং স্টেশনে প্রবেশ পথে ১৯৬নং ব্রিজের পিয়ার পি-৪ নির্মাণ সম্পূর্ণ করেছে। এই পিয়ারের উচ্চতা ১০৪ মিটার, যা কুতুব মিনার থেকে ৪২ মিটার বেশি উঁচু।
advertisement
আরও পড়ুন : এখন আম খেয়ে পরে দাম দিন কিস্তিতে! কোথায় মিলছে ইএমআই, কী কী নিয়ম জানুন
এটি ১২ মিটার বাহ্যিক ব্যাসের একটি হ্যালো পিয়ার, যার ওয়ালের বেধ ৭৫ সেন্টিমিটার থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকৃতির হয়। টোপোগ্রাফিক্যাল বাধার জন্য এই পিয়ারটি একটি নদীর স্রোতের মাঝখানে তৈরি করা হয়েছে। চলন্ত স্রোতের মাঝখানে এই পিয়ারের ভিত্তি নির্মাণ করা এক বিরাট বড় বাধা ছিল, যা স্রোতের পথ পরিবর্তন করে এবং অতিরিক্ত পাইলিং মেশিন স্থাপন করে সম্পন্ন করা হয়েছে। এমন একটি অনন্য পদ্ধতিতে এই পিয়ারটি নির্মাণ করা হয়েছে যাতে এর মধ্য দিয়ে জল যেতে পারে তার জন্য চারটি ৪.৫ মিটার x৮.৫ মিটারের খোলা অংশ সহ পাইল ক্যাপ দেওয়া হয়েছে। এই পিয়ারের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে প্রকল্পটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির একটি সম্পন্ন হয়ে ওঠে।
এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে মিজোরামে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও দীর্ঘকালীন বর্ষার জন্য খুব কম কাজের সময়, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে খুব কঠিন ও পাহাড়ি ভূ-খণ্ড, নিম্নমানের প্রবেশযোগ্যতা, নির্মাণ উপকরণ ও দক্ষ শ্রমিকের অভাব ইত্যাদির মতো একাধিক বিঘ্ন সত্ত্বেও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই প্রকল্পটি দ্রুত চালু করার প্রতিশ্রুতি পূরণে সমস্ত প্রচেষ্টা করেছে। এমনকি প্রকল্পটির সমস্ত স্থানে রাতের শিফটেও কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে রাজ্যটির পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের পর্যটন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ দেশের দূর দূরান্ত অঞ্চলে যাওয়ার সুবিধা লাভ করবেন এবং স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য মিজোরামে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর সরবরাহ বাধাহীনভাবে করা সম্ভব হবে।