এই উদ্যোগের ফলে আনুমানিক ১ লক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী দৈনিক জিএস কোচে যাত্রা করতে সক্ষম হবেন, যা অন্তর্ভুক্তি ও সুবিধার ক্ষেত্রে রেলওয়ের গুরুত্বকেই প্রদর্শন করে। ভারতীয় রেলওয়ের সাফল্যে অবদান রাখতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) সর্বদাই এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৩৬টি ট্রেন / ৬৯টি রেকে ইতিমধ্যে ২৭৬টি জিএস কোচ যুক্ত করেছে, যা তার জোনের মধ্যে এবং বাইরে যাত্রীদের উন্নত স্বাচ্ছন্দ্য এবং উপলব্ধতা প্রদান করবে। এছাড়াও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ২০২৪-এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিনটি অতিরিক্ত ট্রেনে আরও ১৬টি জিএস কোচ যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
advertisement
এই প্রচেষ্টা যাত্রী পরিষেবার উন্নতি এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির যাত্রীর জন্য ট্রেন যাত্রাকে আরও বেশি আরামদায়ক করে তুলতে ও অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একনিষ্ঠতাকেই আলোকপাত করে। ট্রেন যাত্রার ক্ষেত্রে মানুষের বর্ধিত আগ্রহকে স্বীকৃতি জানিয়ে ট্রেনগুলিতে জিএস কোচ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ে তার ট্রেন কোচের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টার গতি তরাম্বিত করে চলেছে। শুধুমাত্র জুলাই ও অক্টোবর মাসের মধ্যে আনুমানিক ৩৭০টি ট্রেনে ৬০০টি জিএস কোচ যুক্ত করা হয়, নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে যার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০০। এছাড়াও আগামী দুই বছরের মধ্যে ৬০০০-এর বেশি জিএস এবং অতিরিক্ত স্লিপার-ক্লাস সহ ১০,০০০-এর বেশি নন-এসি কোচ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই উচ্চ অভিলাষী সম্প্রসারণের ফলে প্রায় ৮ লক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী দৈনিক ট্রেন যাত্রা করতে সক্ষম হবেন, সাধারণ-শ্রেণির যাত্রীদের জন্য আসনের উপলব্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
এই নব উৎপাদিত কোচগুলি আধুনিক এলএইচবি (লিংকে হফমেন বুশ) ডিজাইনের, যা উন্নত স্বাচ্ছন্দ্য, গতিবেগ এবং সুরক্ষা প্রদান করে। এলএইচবি কোচগুলি শুধুমাত্র হালকা ও মজবুত নয়, বরং তার পাশাপাশি এই কোচগুলি দুর্ঘটনার সময় কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রচলিত আইসিএফ কোচের তুলনায় উন্নত যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার দিক থেকে সাধারণ শ্রেণির যাত্রীদের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার প্রদানের প্রতিশ্রুতির প্রতি অটল হয়ে রয়েছে, ফলে জোনের মধ্যে এবং দেশজুড়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উন্নত হয়েছে। ট্রেন যাত্রাকে প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষিত, অধিক সুবিধাজনক এবং অন্তর্ভুক্তিকরণ পরিবহণ পদ্ধতিতে রূপান্তর করার যে দৃষ্টিভঙ্গী উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই সুবিধাগুলির চলমান সম্প্রসারণের মাধ্যমে।