আন্দোলনকারীরা উপদ্রব সৃষ্টি করার পাশাপাশি রেলওয়ের কাজে বাধার সৃষ্টি করেন। অবরোধ সম্পূর্ণভাবে অকর্তৃত্বশীলভাবে করা হয়েছিল এবং আন্দোলনকারীরা ট্রেন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে যাত্রীদের সুরক্ষা বিপন্ন করার পাশাপাশি রেলওয়ের চত্বরে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি আইন ভঙ্গ করেন। কর্তব্যরত আরপিএফ, জিআরপি ও স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার পিএ সিস্টেম, লাউডস্পিকারে মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা রেলওয়ে ট্র্যাক থেকে বাধা তুলে নিতে অস্বীকার করেন। কর্তব্যরত সুরক্ষা কর্মীদের দ্বারা গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী নেওয়া হয়। এই বলপূর্বক রেল অবরোধের ফলে ৫.৬১ কোটি টাকার (আনুমানিক) ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় রেলওয়েকে।
advertisement
অবরোধের ফলে আর্থিক ক্ষতি ঘটার জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে ওই দিন আন্দোলনের নেতৃত্ববহনকারী কয়েকজন জিসিপিএ নেতাকে সিজেএম/আলিপুরদুয়ারের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের নোটিশ দেওয়া হয়। উপযুক্ত সময়ে ক্ষতি পূরণের জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। রেলওয়েকে আন্দোলনকারী গোষ্ঠীদের জন্য একটি কোমল লক্ষ্য হিসেবে দেখা হয়, যদিও ওই গোষ্ঠীটির দাবিগুলি কোনওভাবেই রেলওয়ের সাথে যুক্ত নয়।
এই ধরনের গোষ্ঠীগুলির দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুতর এবং এর সুদূরপ্রসারী পরিণতির ফলে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রত্যক্ষভাবে বিপদের মুখে পড়ে। রেলওয়ে সর্বদা নিজের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতি আস্থা বজায় রাখার জন্য কাজ করে আসছে এবং রেলওয়েকে সহজ ও নরম লক্ষ্য হিসেব মনে করার জন্য এই ধরনের গোষ্ঠীগুলির অবৈধ দাবিগুলিকে কখনও অনুপ্রাণিত করে না।