দেশের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রাপথটি ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত। ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি স্টেশন থেকে দেশের সবচেয়ে দক্ষিণ বিন্দুতে অবস্থিত একটি স্টেশনের মধ্যে এই বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেয় বিবেক এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন- মণিপুরে বীভৎস ভূমিধ্বস! ১৮ জন সেনা সহ মৃত ২৪! মাটির নীচে আটকে আরও বহু প্রাণ!
advertisement
অসমের ডিব্রুগড় থেকে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী পর্যন্ত পাড়ি দেওয়া বিবেক এক্সপ্রেস বর্তমানে দূরত্ব এবং সময় দুই ক্ষেত্রেই দেশের দীর্ঘতম ট্রেনপথের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে৷ ট্রেনটি মোট নয়টি রাজ্য অতিক্রম করে। ৫৮ টি স্টপেজ সহ ট্রেনটি অসম, নাগাল্যান্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল এবং তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে যায়।
ভারতের তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১-১২ সালের রেল বাজেট পেশ করার সময় ২০১১ সালে বিবেক এক্সপ্রেসের ঘোষণা করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে এই ট্রেনের যাত্রাপথটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন- এক মাসে ১ লক্ষ টাকা বেড়ে হল ৩ লক্ষ টাকা! শুক্রবারই আরও ৫% বৃদ্ধি পেল এই শেয়ার!
ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী হল বিবেক এক্সপ্রেসের অধীনে থাকা চারটি রুটের মধ্যে একটি। বিবেক এক্সপ্রেসের অন্যান্য রুট হল গুজরাতের ওখা থেকে তামিলনাড়ুর থুথুকুডি, মুম্বইয়ের বান্দ্রা থেকে জম্মুর কাটরা, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরু।
দেশের দীর্ঘতম পথ পাড়ি দিলেও বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন রুটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বিবেক এক্সপ্রেসের পথ। ছয় দিনে মোট ৯,২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় (বিবেক এক্সপ্রেসের দূরত্বের প্রায় দ্বিগুণ) ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেল যা মস্কো এবং ভ্লাদিভোস্তককে সংযুক্ত করে। রাশিয়ান এই রেলপথটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলকে সুদূর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করে।