এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোনও ট্রেনের যাত্রাপথের ২০০ মিটারের মধ্যে ট্র্যাকের ওপর কোনও মুভমেন্ট হলেই সেই তথ্য পৌঁছে যাবে চালকের কাছে। ফলে রেললাইনের ওপর হাতি বা হাতির পাল উঠে এলে ২০০ মিটার আগে থেকেই জানতে পারবেন চালক। ফলে সতর্ক হতে পারবেন। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে এলিফ্যান্ট করিডর। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার রেলপথ বসবে এই প্রযুক্তি। এর জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১৮১ কোটি টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাশিফল ১৪ ডিসেম্বর: আগামিকাল অর্থসমস্যার আতঙ্ক! রাশি মিলিয়ে দেখুন কেমন যাবে দিন
এই বিষয়ে উল্লেখ্য, গত ১০ অগাস্ট চালসা ও নাগরাকাটা স্টেশনের মাঝে ট্রেনের ধাক্কায় একটি গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর ডুয়ার্সের ট্রেন রুটে হাতি-সহ অন্যান্য বন্যজন্তুর মৃত্যু রুখতে রেল ও বনদফতরের যৌথ মিটিং হয় আলিপুরদুয়ারে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শিলিগুড়ি জংশন ওবধি ডুয়ার্সের ১৬২ কিমি রেলপথকে ইন্সট্রুসন ডিভাইস সিস্টেম এর আওতায় আনা হবে। কারণ ডুয়ার্সের এই রেলপথে মহানন্দা, চাপরামারি,জলদাপাড়া ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল রয়েছে।
২০০৪ সালে গেজ পরিবর্তনের পর থেকে এই রুটে বহু বন্যজন্তুর মৃত্যু হয়েছে ট্রেনের ধাক্কায়। ডুয়ার্সের এই রেলপথে ট্রেনের ধাক্কায় সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় বিন্নাগুড়ি থানার অন্তর্ভুক্ত মোরাঘাট এলাকায় রেললাইন পার হতে গিয়ে পণ্যবাহী ট্রেনের ধাক্কায় একসঙ্গে সাতটি হাতির মৃত্যু হয়। ২৩ নভেম্বর ২০১৫-তে আলিপুরদুয়ার জেলায় রাঙ্গালিবাজনার কাছে দিল্লি থেকে গুয়াহাটিগামী মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি বিশাল দাঁতাল হাতির৷ এই রেলপথটি ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইন হওয়ার পর ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৬০ টি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ জুলাই ২০১৮-তে ডুয়ার্সের বানারহাট স্টেশনের কিছু আগে দেবপাড়া চা বাগান এলাকায় ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় দু’টি দাঁতালের মৃত্যু হয়েছিল। বর্তমানে মাদারিহাট থেকে নাগরাকাটা ৩৫ কিমি রেলপথে এই ইন্সট্রুসন ডিভাইস সিস্টেম-এর বসানোর কাজ চলছে।