ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেল প্রকল্প, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটিঐতিহাসিক মাইলফলক, যা প্রথমবারের মতো মিজোরামের রাজধানীআইজলকে রেল সংযোগ স্থাপন করেছে, যার ফলে এই রাজ্যটি ভারতেরজাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে একীভূত হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্বোধনভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বারা ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আইজল, মিজোরামে করা হয়।
৫১.৩৮ কিলোমিটার বিস্তৃত এই রেল লাইনে ৪৫টি টানেল, ১৪৩টি ব্রিজ (কুতুব মিনারের থেকে উঁচু একটি ব্রিজ সহ) এবং হরতকি, কাউনপুই, মুয়ালখাং এবং সাইরাং সহ চারটি নতুন স্টেশনরয়েছে, যা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অসাধারণ উদাহরণ প্রদর্শন করে। এই অঞ্চলেরপ্রতিকূল ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে(নির্মাণ) টিম এই জটিল প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে, যা মিজোরামএবং বৃহত্তর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাণিজ্য, পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক বিকাশকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
advertisement
একইভাবে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে ১১০.৭৫ কিলোমিটারের আরারিয়া-গলগলিয়া ব্রডগেজ লাইন প্রকল্প, রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশনার শ্রীসুমিত সিংঘল দ্বারা ৯ থেকে ১১ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আয়োজিত বিধিবদ্ধ পরিদর্শনের পর সম্পূর্ণ সমাপ্তিতে পৌঁছেছে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে, ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি আরারিয়া – গলগলিয়া (ঠাকুরগঞ্জ) নতুন রেল লাইন সেকশনে ট্রেন পরিষেবার সূচনা করেন, যা প্রকল্পটির কার্যকারিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। রহমতপুর-পাওয়াখালী অংশ সহ সমস্ত সেকশন এখন চালু হওয়ার সাথেসাথে, এই লাইনে ৬৪টি মেজর ব্রিজ, ২৬৪টি মাইনর ব্রিজ এবং ১৫টি স্টেশন রয়েছে। এটি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলাচলের জন্য অনুমোদিতহয়েছে, যার ফলে বিহার এবং সংলগ্ন অঞ্চলে সংযোগ মজবুত হবে এবংআঞ্চলিক বিকাশকে উৎসাহিত করবে।
মাননীয় মন্ত্রী দ্বারা প্রদান করা এই পুরষ্কারগুলি রেলওয়ে আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অসাধারণ নিষ্ঠা, উদ্ভাবন এবং টিম ওয়ার্কের স্বীকৃতি স্বরূপ, যারা এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলিকে সম্ভব করে তুলেছে। ভৈরবী – সাইরং এবং আরারিয়া – গলগলিয়া উভয় প্রকল্পই, রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, দূর-দূরের অঞ্চলগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং আধুনিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের প্রতিশ্রুতির জন্য ভারতীয় রেলওয়ের প্রতিশ্রুতির উজ্জ্বল উদাহরণ।

